মধ্যাাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৫১ পিএম
মধুনগর এলাকার গৃহবধূ উর্মি আক্তার হত্যার বিচার ও মামলা রেকর্ডভুক্ত (এফআইআর) করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল মধুনগর এলাকার গৃহবধূ উর্মি আক্তার হত্যার বিচার ও মামলা রেকর্ডভুক্ত (এফআইআর) করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উর্মি আক্তারের বাবা অষ্টগ্রাম উপজেলার খান ঠাকুর দিঘীরপাড় গ্রামের কৃষক সিজিল মিয়া বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের যশোদল মধ্যনগর এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমানের সাথে ২০১৫ সালে আমার মেয়ের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছর পর ইভা নামের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় জিল্লুর ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য উর্মিকে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের কথা উর্মি আমাদের জানালে জমি বিক্রি করে চার লাখ টাকা দেই। এরপর কিছুদিন নির্যাতন বন্ধ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিল্লুর জুয়া খেলে ও নেশা করে চার লাখ টাকা নষ্ট করে ফেলে। কিছুদিন আগে আবার টাকা আনার জন্য উর্মিকে চাপ দেয়। উর্মি টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে আবারও তাকে জিল্লুর ও তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতনের কথা আমাদের জানায় সে। একপর্যায়ে গত ১৭ জানুয়ারি উর্মিকে হত্যা করে নিজ বসত ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে তারা।’
সিজিল মিয়া বলেন, ‘মূলত টাকার জন্যই জিল্লুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে উর্মিকে হত্যা করে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করলে জিল্লুর ও তার বাবা মতিউর রহমান, মা সাহেরা খাতুন, ছোট ভাই আফজল, চাচতো ভাই তামিম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেল কেন? ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় হত্যার মামলা রেকর্ড হয়নি। আমি মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের সুরতহাল ও চিকিৎসকের তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ উর্মি আক্তারের খালু মোসাদ্দেক হোসেন সোহেল, ভাই আল মোফাচ্ছর তন্ময়সহ শেখ সালমান, তিতাস চন্দ দাস, অমিত দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।