কমলগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৫ পিএম
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে টিলাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। প্রবা ফটো
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে টিলাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। বিদ্যালয়টিতে পাঁচজন শিক্ষকের স্থলে বর্তমানে কর্মরত আছেন তিনজন। এর মধ্যে একজন সহকারি শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটি ও আরেকজন অসুস্থ্যতার কারণে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন। ফলে প্রধান শিক্ষক একাই সামলাচ্ছেন পুরো বিদ্যালয়।
প্রাথমিক এ বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮০ জন। আলাদা করে প্রতিটি শেণিকক্ষে পাঠদান একজন শিক্ষকের পক্ষে অসম্ভব। তাই বিদ্যালয়ের মাঠে সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে বসিয়ে ক্লাস নিতে দেখা গেছে।
গত সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ে ১৮০ শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য বর্তমানে শিক্ষক আছেন মাত্র দুজন। বিদ্যালয়টিতে গত বছর পাঁচজন শিক্ষকই কর্মরত ছিলেন। কিন্তু বদলি ও অবসর নিয়ে চলে যান দুই শিক্ষক।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যান এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রত্না সিনহা। এর আগে বদলি হয়ে চলে যান সহকারী শিক্ষক লাভলী সিনহা। আরেক সহকারী শিক্ষক তানিয়া আক্তারও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। ফলে গত এক মাস ধরে শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যালয়টিতে। গত সোমবার সহকারী শিক্ষক লক্ষী রানী অসুস্থ্যতার কারণে অনুপস্থিত থাকায় একাই স্কুল চালিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। বিদ্যালয়ের মাঠে সকল শ্রেণীর ক্লাস এক সঙ্গে নিতে হয় প্রধান শিক্ষকের। এ ছাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসে দাপ্তরিক কোনো কাজে প্রধান শিক্ষক চলে গেলে ক্লাস করানোরই কেউ থাকেন না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিদ্যালয়ে প্রতিদিন প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষকের স্থলে বর্তমানে আমি ও সহকারী শিক্ষক লক্ষী রানী মিলেই গত ১ মাস ধরে ক্লাসসহ যাবতীয় কাজকর্ম চালাচ্ছি। তবে সহকারী শিক্ষক লক্ষী রানী অসুস্থ্যতাজনিত কারণে বিদ্যালয়ে না আসায় একাই ক্লাস নিতে হচ্ছে।’
টিলাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘গত সোমবার স্কুলে গেলে মাঠে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে এক সঙ্গে ক্লাস নিতে দেখতে পাই। এমন দৃশ্য দেখে কষ্ট লাগে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি যেন দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।’
এলাকাবাসী উপজেলা শিক্ষা অফিসে শিক্ষক প্রদানের দাবি জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানান বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘টিলাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট কথা স্বীকার করে বলেন শিগগিরই সমস্যাটি সমাধানের চেষ্ঠা করা হবে।’