রাঙামাটি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:২৭ পিএম
কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রবা ফটো
হাইকোর্টের নির্দেশে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে আসামবস্তির ব্রাহ্মণটিলা এলাকা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় দিনে ফিসারি ঘাট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গেলে দুটি দোকান ভাঙার পরই স্থানীয়রা বিক্ষোভ শুরু করে। এতে উচ্ছেদ অভিযান বাধাগ্রস্ত হয়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট বিক্ষুদ্ধ জনতাকে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন সকালে মুখে মুখে উচ্ছেদের কথা বলে দুপুরের দিকে এসে ভাঙা শুরু করেছে। কয়েক ঘণ্টায় মালামাল সরানো সম্ভব হয়নি। আগে থেকে নোটিশ দিলে মালামাল সরিয়ে নেওয়া যেত।
অভিযানের প্রথম দিন ব্রাহ্মণটিলা এলাকায় ৩টি কাচাঘর, ও নির্মাণাধীন একটি ভবন ভাঙা হয়। পরে আসামবস্তী ব্রিজ এলাকা অভিযান পরিচালনা শুরু করে ৪টি দোকান ভাঙ্গার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মালামাল সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করলে রাত পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেয় প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা বিনতে আমিন বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রিট পিটিশনের আদেশ অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদে কাজ শুরু করেছি আমরা।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা উচ্চ আদালতের নোটিশ পেয়েছি। আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থে। যেখানে কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও উচ্ছেদ সংক্রান্ত তিন দফা নির্দেশনা ছিল। দখলদারদের তালিকা তৈরি, উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ ও এক মাসের মধ্যে কাপ্তাই হ্রদের জরিপ শেষ করা। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সেই কার্যক্রম শুরু করেছি।’