সালিশী বৈঠকে নারী নির্যাতন
রংপুর অফিস
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:০৩ পিএম
রংপুরের বদরগঞ্জে সালিশী বৈঠকে দুই নারীকে নির্যাতনের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার জনকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রবা ফটো
রংপুরের বদরগঞ্জে সালিশী বৈঠকে দুই নারীকে নির্যাতনের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার জনকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মধুপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আয়নাল হক, তার সহযোগী মো. মহিবুল, সেকেন্দার আলী ও চিকনা এনামুল। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, ওই দুই নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর অপরাধে আরও ছয় আসামি- মো. ইলিয়াছ, মো. বাবলু, মো. সেকেন্দার আলী, মো. রউফ মন্ডল, মো. মোটা এনামুল ও মো. মজম আলীকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় ৪৫ আসামিকে খালাস দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৫ জুন মধুপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের দুই হতদরিদ্র নারী হাফিজা বেগম হ্যাপি ও সহিদা খাতুনকে চরিত্রহীন আপবাদ দিয়ে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আয়নালের নির্দেশে আসামিরা তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে মারধর করেন। এরপর সেখানে সালিশের নামে আয়নাল হকের উপস্থিতিতে তাদের বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়।
এ ঘটনায় হ্যাপীর করা মামলায় আয়নাল হকসহ ৫৬ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ তদন্ত শেষে ৫৬ জনে বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। মামলার বিচার চলাকালীন দুই আসামির মৃত্যু হয়। পরে মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম তুহিন বলেন, ‘মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় আসামিদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করেছি। এর মাধ্যমে আদালত বার্তা দিলেন নারীদের প্রতি সহিংসতা করলে তার শাস্তি পেতে হবে।’