৮৫ কেন্দ্রে ভোটারদের জোরপূর্বক নৌকায় ভোটদান : স্বতন্ত্র প্রার্থী

বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেছেন, ‘৭৫টি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ৮০ থেকে ৮৫টি কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোটারদের কাছ থেকে নৌকায় ভোট আদায় করা হচ্ছে। আমি জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘যাদের কাছে আমি অভিযোগ দেব তারাই তো এর সঙ্গে জড়িত। তাদের যখনই বলবেন তখনই তারা বলবেন দেখতেছি, যাচ্ছি। এই লড়াইয়ে আমি কতক্ষণ টিকতে পারব, এটা আমি জানি না। তবে লড়াই আমি চালিয়ে যাব। রেজাল্ট আমার বিপক্ষে যাবে এটা আমি বুঝতে পারছি।’

ভোটারদের উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ জানিয়ে মান্নান আকন্দ বলেন, ‘এটার কারণ হলো আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ভোটের কোনো উৎসব নেই।’

ভোট থেকে সরে যাবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভোট থেকে সরে যাব না। ভোট থেকে সরে যায় কাপুরুষরা। তবে ভোট সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না।’

জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে যে প্রার্থীই অভিযোগ করেছেন আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। ভোটের পরিবেশ ভালো এবং সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

তিনি বলেন, ‘বগুড়ার দুটি আসনের প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ, আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ১৭টি মোবাইল ফোর্স, ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১০ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালন করছেন।’

বগুড়া-৬ সদর আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু, জাপার প্রার্থী নুরুল ইসলাম ওমরসহ জাসদ স্বতন্ত্র মিলে ১১ জন। এই আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪৩ জন।

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে জাসদ প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন, জাপার শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুকসহ স্বতন্ত্র মিলে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনে মোট ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন।