যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:২০ এএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:২১ এএম
যশোরের সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা। প্রবা ফটো
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত স্মরণে যশোরের সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি)।
করোনা মহামারির কারণে তিন বছর বন্ধ থাকার পর মেলায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীর বিপুল সমাগম ঘটছে। মেলায় এসে মহাকবির বাস্তুভিটা ঘুরে দেখছেন তারা, করছেন কেনাকাটাও।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী ছিল গত ২৫ জানুয়ারি। জন্মদিন উপলক্ষে কবির স্মৃতিধন্য কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। মেলায় যশোরসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে আসছেন দর্শনার্থীরা।
সাগরদাঁড়ি এলাকার কামরুজ্জামান বলেন, মধুমেলার সাত দিন বাড়িতে বিভিন্ন স্থান থেকে আত্মীয়স্বজন আসেন। বাড়ি জমজমাট থাকে। ঈদের মতো খুশির আমেজ জাগে।
একই গ্রামের দিপ্তি দাশ বলেন, ‘মেলার সময় আমাদের মেয়েজামাই বাড়িতে আসে। পূজার সময় আসে না। তাই মেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের বাড়তি আনন্দ থাকে। এই সাত দিন আমরা মেলায় ঘুরি। দেশ-বিদেশের মানুষ আমাদের এখানে আসে। দেখে খুব ভালো লাগে।’
মেলায় উঠে হরেক রকমের মিষ্টি। এবারের মেলায় এক কেজি ওজনের মিষ্টি উঠেছে। দাম হাঁকা হয়েছে ৩০০ টাকা। নজরকাড়া এ মিষ্টির নাম ‘বালিশ মিষ্টি’। এ মিষ্টি দেখতে ও স্বাদ নিতে মিষ্টির দোকানে ভিড় করছেন অনেক দর্শনার্থী।
সুকলা দত্ত নামের এক দর্শনার্থী বলেন, এবারের মধুমেলায় এসে ব্যতিক্রমী এ বালিশ মিষ্টিটি দেখলাম। দাম শুনে এবং ওজন শুনে অবাক লাগছে। প্রথম এ মিষ্টির নাম শুনলাম এবং দেখলাম। কেয়া খাতুন বলেন, মিষ্টি খুব পছন্দ করি। এবার এই বালিশ মিষ্টিটা দেখলাম, তাই দাম বেশি হলেও নিয়ে যাব।
মেলায় সাজিয়ে রাখা হরেক রকম মিষ্টি। প্রবা ফটো
মধুমেলার সবার নজর কাড়ছে ‘কৃষিমেলা’। কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শনার্থীরা। কেশবপুর উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুসের ৯ ফুট উচ্চতার সরিষাগাছ, ৫ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের ওলকপি, অসময়ের তাল, আলতাপোল গ্রামের কৃষক আব্দুস সালামের বড় বড় কাঁঠাল, বাগদহা গ্রামের কৃষক রেজাউল করিমের ৫ ফুট উচ্চতার কচু।
পাশের সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা গ্রামের কৃষক এসএম তাহসিমের ৬ ফুট উচ্চতার কলার কাঁদি ও ইসলামকাটি গ্রামের কৃষক আশরাফুল ইসলামের ৪ কেজি ৭৭৫ গ্রাম ওজনের পেঁপে নিয়ে এসেছেন মেলায়। এ ছাড়া বিভিন্ন বীজ দিয়ে তৈরি উপজেলার মানচিত্রসহ ফসলের ক্ষেত দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।