লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৫ পিএম
আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫৭ পিএম
কাকড়া চরে ডানা মেলে উড়ছে বালি হাঁস। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মেঘনা নদীতে জেগে উঠেছে নতুন চর। নাম কাকড়া। সেখানে স্থানীয় কৃষকরা আশা দেখছেন স্বপ্ন বুননের। ঠিক তখন এই চরে দেখা মিলেছে অপরূপ বালি হাঁস। নিচে বিস্তীর্ণ সবুজের সমারোহ, ওপরে শূন্য আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে বালি হাঁসের মেলা।
স্বাভাবিকভাবে হিমালয় ও আশেপাশের এলাকায় দেখা মেলে এই জাতের হাঁস। যা দেখতে অনেকটা রাজহাঁসের মতো। শীতকালে হিমালয়ের কোল ঘেঁষা দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণমুখী হয় এরা। বুধবার দুপুরে মেঘনা নদীর কাকড়া চরে দেখা মিলেছে একঝাঁক বালি হাঁস। ছবি ধারণ করতে গেলেই উড়াল দেয় হাঁসের দল। কারণ এরা ২০০ ফুট দূর থেকেই মানুষের উপস্থিতি টের পায়। প্রতিবেদকের তোলা ছবিতে তাদের উড়ে যাওয়ার কিছু দৃশ্য ফুটে উঠেছে।
সেখান থেকে এসে চরের মাঝ দিয়ে যাওয়া নদী সংযোগ খালের অন্য পাড়ের অদূরে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি বালি হাঁসের দেখা মেলে। দূর থেকে দেখে মনে হয় কুয়াশার সঙ্গে মিশে আছে। দলবদ্ধভাবে হাঁসগুলোর উড়ে যাওয়ার দৃশ্যও দেখতে দারুণ লাগে।
চর লরেন্স গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান দিদার বলেন, ‘নতুন চর ঘিরে নদী ভাঙনের শিকার মানুষজন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। এ চরে ফসল উৎপাদনের প্রস্তুতি চলছে। এখানে আমিও চাষাবাদ করব। সে লক্ষ্যেই চরে আসা। এখানে এসে বালি হাঁসগুলো আমার নজর কেড়েছে। এসব হাঁস স্বাভাবিকভাবে লোকালয়ে দেখা যায় না।’
তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সানা উল্লাহ সানু বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে মেঘনা নদীতে নতুন চর জেগে উঠেছে। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে নদীর বুকে যেন একখণ্ড সমতল ভূমি। চরটি দেখতে এখানে আসা। তখন হঠাৎ করে দূর থেকে বালি হাঁস দেখতে পাই।’
তিনি বলেন, ‘হাঁসগুলোর ছবি তুলতে চেষ্টা করেছি। প্রায় ২০০ ফুট দূরে থাকতেই তারা উড়াল দিয়ে পালিয়ে গেছে। এত দূর থেকে মোবাইল ফোনে ছবি ধারণ করা সম্ভব হয়নি।’
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘বালি হাঁস শীতকালেই আমাদের এ অঞ্চলে অতিথি হয়ে আসে। এটি দেশের উত্তরের হিমালয় এলাকায় বেশি দেখা যায়। সাধারণত শীতকালে নদীর বিভিন্ন এলাকায় হাঁসগুলো নজরে পড়ে। স্বভাবগতভাবে এরা দলবদ্ধ হয়ে থাকে।’