মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৬ পিএম
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৫ পিএম
শনিবার কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের বিচার চাওয়ায় কৃষক আবু বকরকে পিটিয়ে হত্যার তিন দিন পরও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে কুলিয়ারচরের রামদী ইউনিয়নের মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। এরপর শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) মামলা করেন নিহতের ছেলে বায়েজিদ। মামলায় বাবুল, রিশাদ, আলম মিয়া ও পারভেজকে অভিযুক্ত করা হয়। রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, গত শনিবার কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নূরজাহান বেগম জানান, কুলিয়ারচর উপজেলার বীর কাশিমনগর ফেদাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক হাসিনা বেগম কিছুদিন আগে দুর্ঘটনায় আহত হন। মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে ওই শিক্ষিককে দেখতে আসে বিদ্যালয়ের চার ছাত্রছাত্রী। এ সময় রাস্তায় ওই ছাত্রীদের অশালীন কথাবার্তা বলে উত্ত্যক্ত করে বাবুল, রিশাদ, পারভেজসহ কয়েকজন কিশোর।
নূরজাহান জানান, তাদের উত্ত্যক্তের ঘটনাটি শিক্ষিকা হাসিনা বেগমকে জানালে তিনি বিষয়টি প্রতিবেশী আবু বকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে বলেন। পরে আনিছা বেগম অভিযুক্ত রিশাদের বাবার কাছে নালিশ দিলে রিশাদকে শাসন করেন তার বাবা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রিশাদ, পারভেজ, বাবুলসহ আরও কয়েকজন কিশোর আবু বকরের বাড়িতে গিয়ে আনিছা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তখন তারা আবু বকরকে খুঁজতে থাকেন। তখনই আবু বকর বাড়িতে ঢুকে খোঁজার কারণ জানতে চাইলেই বখাটে কিশোররা আবু বকরকে মারধর শুরু করেন। এ সময় আবু বকরের ভাতিজা সজীব বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
পরে আহত আবু বকরকে উদ্ধার করে বাজিতপুরে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা রিশাদ, বাবুল ও পারভেজদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।