× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

তুমব্রুতে তৈরি হচ্ছে নতুন ‘রোহিঙ্গা পল্লী’

কক্সবাজার অফিস ও বান্দরবান প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৫ পিএম

আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:৪৮ পিএম

তুমব্রু সীমান্তে নতুন করে গড়ে তোল হচ্ছে রোহিঙ্গা বসতি। প্রবা ফটো

তুমব্রু সীমান্তে নতুন করে গড়ে তোল হচ্ছে রোহিঙ্গা বসতি। প্রবা ফটো

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালি জায়গায় নতুন করে রোহিঙ্গা বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে ঝুপড়ি ঘর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

গেল বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে তুমব্রুর শূন্যরেখায় গোলাগুলি শুরু হয়। এতে একজন নিহত ও শিশুসহ দুজন আহত হয়। পরে শূন্যরেখায় রোহিঙ্গাদের বসতঘরে আগুন দেওয়া হয়। তখন রোহিঙ্গাদের একটি অংশ মিয়ানমারে চলে যায়। অনেকে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর মিয়ানমারে চলে যাওয়া রোহিঙ্গারা ফের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু করে। যারা তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালি জায়গায় পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে ঝুপড়ি ঘর করে অবস্থান নিতে শুরু করেছে। এতে তৈরি হচ্ছে নতুন ‘রোহিঙ্গা পল্লী’।

সীমান্ত পরিস্থিতি এখন কেমন এই প্রশ্নের জবাবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং আশপাশের এলাকায় মিয়ানমারের সশস্ত্র দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি বন্ধ ছিল। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ফের গোলাগুলি শুরু হয়। 

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা এখনও সেখানে অবস্থান করছেন। তাদেরকে বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কড়া নজরদারিতে রেখেছেন। ওই এলাকায় সাধারণ মানুষও আসা-যাওয়া করতে পারছেন না।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানিয়েছেন, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ তার আশপাশে কিছু রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বলে শুনেছি। তবে তাদের সংখ্যা কত তা জানি না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওখান থেকে সিদ্ধান্ত জানানোর পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সীমান্তের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)সহ সংশ্লিষ্টরা।

২০১৭ সালের আগস্টে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এর মধ্যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে অবস্থান নিলেও কিছু রোহিঙ্গা শূন্যরেখার ক্যাম্পটিতে বসবাস করতেন। যে ক্যাম্পটিতে বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়, আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা সহায়তা না করলেও আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট কমিটি (আইসিআরসি) সহায়তা করে আসছিল। আইসিআরসির তথ্য মতে, শূন্যরেখার ক্যাম্পটিতে ৬৩০টি ঘরে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করতেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: protidinerbangladesh.pb@gmail.com

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: pbad2022@gmail.com

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: pbonlinead@gmail.com

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: pbcirculation@gmail.com

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা