মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩৩ পিএম
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:০৩ পিএম
ছবি : প্রতীকী
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় কয়েকজন কিশোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করেন। কিশোরদের বিরুদ্ধে তাদের বাড়িতে নালিশ করায় এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কুলিয়ারচরের রামদী ইউনিয়নের মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু বকরের বাড়ি ওই গ্রামেই। অভিযুক্ত কিশোররা হলেন- একই গ্রামের মো. বাবুল, মো. রিশাদ ও মো. পারভেজ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নূরজাহান বেগম জানান, কুলিয়ারচর উপজেলার বীর কাশিমনগর ফেদাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা বেগম কিছুদিন আগে দুর্ঘটনায় আহত হন। মুজরাই মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে ওই শিক্ষিকাকে দেখতে আসে বিদ্যালয়ের চার ছাত্রছাত্রী। এ সময় রাস্তায় ওই ছাত্রীদের অশালীন কথাবার্তা বলে উত্ত্যক্ত করেন বাবুল, রিশাদ, পারভেজসহ কয়েকজন কিশোর।
নূরজাহান জানান, তাদের উত্ত্যক্তের ঘটনাটি শিক্ষিকা হাসিনা বেগমকে জানালে তিনি বিষয়টি প্রতিবেশী আবু বকরের স্ত্রী আনিছা বেগমকে বলেন। পরে আনিছা বেগম অভিযুক্ত রিশাদের বাবার কাছে নালিশ দিলে রিশাদকে শাসন করেন তার বাবা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রিশাদ, পারভেজ, বাবুলসহ আরও কয়েকজন কিশোর আবু বকরের বাড়িতে গিয়ে আনিছা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তখন তারা আবু বকরকে খুঁজতে থাকেন। তখনই আবু বকর বাড়িতে ঢুকে খোঁজার কারণ জানতে চাইলেই বখাটে কিশোররা আবু বকরকে মারধর শুরু করেন। এ সময় আবু বকরের ভাতিজা সজীব বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
পরে আহত আবু বকরকে উদ্ধার করে বাজিতপুরে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনা উত্তেজিত জনতা রিশাদ, বাবুল ও পারভেজদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি বলেও জানান ওসি।