× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন

এলাকায় ফিরেই প্রচারে সাত্তার, সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতারা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৮ পিএম

আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২১:৪৮ পিএম

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারে নেমেছেন বিএনপির থেকে বহিষ্কৃত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। প্রবা ফটো

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারে নেমেছেন বিএনপির থেকে বহিষ্কৃত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। প্রবা ফটো

এক মাসেরও বেশি সময় পর এলাকায় ফিরেই প্রচারে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সরাইলের পরমানন্দপুর হাজী মকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এই রাজনীতিক। সভায় সাত্তারের সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারাও।

এর আগে দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ থেকে পদত্যাগের পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দলত্যাগ করেন তিনি। এরপর উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় তোলেন তিনি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় পাঁচবারের এই সংসদ সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। উপনির্বাচনে তার প্রার্থিতা নিয়ে চলছে আওয়ামী লীগ-বিএনপির কথার লড়াই। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাত্তার, সে বিষয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি এতোদিন। পাকশিমুল ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক ও সুধী সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত ওই সভায় নিজের প্রার্থিতা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

বিএনপির অভিযোগ, সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে সাত্তার ভূঁইয়া উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে সাত্তারের দাবি, জনগণকে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করতেই উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে পদত্যাগ (সংসদ সদস্য পদ থেকে) করি। পরে বুঝতে পারি, আমি আমার এলাকার জনগণের কাছে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করতে পারিনি। তাই আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চাইছি।’

ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সহযোগিতা চাইব। আপনারা আমাকে আবার কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। প্রক্রিয়াধীন কাজগেুলো করার সুযোগ দিন।’

এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন আবদুস সাত্তার। ২৯ ডিসেম্বর রাতে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তিনি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ ছাড়েন। ১ জানুয়ারি তার পক্ষে উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন আবদুর রশিদ নামে এক ব্যক্তি। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২ জানুয়ারি প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে উকিল আবদুস সাত্তারকে বহিষ্কার করে বিএনপি। ৪ জানুয়ারি সাত্তারের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন তার ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া। সংসদ থেকে পদত্যাগের পর আর নির্বাচনী এলাকায় যাননি সাত্তার ভূঁইয়া। দলীয় পদ ছাড়ার পর থেকে বন্ধ ছিল তার মোবাইল ফোনও।

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে বিতর্কিত করতে সরকার কৌশলে আবদুস সাত্তারকে উপনির্বাচনে আনার ছক কষেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।

তার এমন দাবি আরও পোক্ত হয়েছে, উপনির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের তিন নেতার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে। গত ১৪ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন ও শাহজাহান সাজু। গত বুধবার সরে দাঁড়িয়েছেন, এই উপনির্বাচনের আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা। তিনি জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সাত্তার ভূঁইয়াকে সুবিধা করে দিতেই সরকারের নির্দেশে এই চার প্রার্থী ভোটের মাঠ ছেড়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির এমন অভিযোগ শুরু থেকে অস্বীকার করে এলেও এ আলোচনা আরও চাঙ্গা হয়েছে সাত্তার ভূঁইয়ার মঙ্গলবারের মতবিনিময় মঞ্চে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে। পাকশিমুল ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

দলীয় সিদ্ধান্তে সাত্তার ভূঁইয়ার প্রচারে এসেছেন কিনা জানতে চাইলে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে মতবিনিময়ে দেওয়া বক্তব্যে অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব বলেন, ‘আবদুস সাত্তার ভুূইয়া একজন ভালো মানুষ। উনি জীবনে কারও ক্ষতি করেননি। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, দলমতি নির্বিশেষে সবাই তার পক্ষে কাজ শুরু করেছেন।’ অরুয়াইল ইউনিয়নের ৯০ শতাংশ ভোট সাত্তার ভূঁইয়া পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তালেব।

এদিকে স্থানীয় ভোটার ও রাজনীতিকরাও বলছেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির হেভিওয়েট প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় আবদুস সাত্তারের জয়ের পথ এখন অনেকটাই পরিষ্কার। সাত্তারের সঙ্গে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা