কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:১৫ পিএম
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:৫৬ পিএম
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত। ফাইল ফটো
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় তুমব্রু সীমান্তে শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলছে।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়ায় ক্যাম্প এলাকায় সকাল ৬টার পর থেকে শুরু হওয়া গোলাগুলি এ দিন দুপুরে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা।
তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। গোলাগুলি এখনও অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাটি শূন্যরেখায় হওয়ায় আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই। তবে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’
কাদের মধ্যে এই গোলাগুলি হচ্ছে তা নিশ্চিত করেননি ইউএনও। তবে স্থানীয়দের ধারণা, মিয়ানমানের দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে ওই গোলাগুলি হচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘সকাল থেকে শূন্যরেখায় গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। কী হচ্ছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। মিয়ানমারের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে বলে জেনেছি। স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে রয়েছেন।’
শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘ভয়ে আশ্রয়শিবির থেকে কেউ বের হচ্ছেন না।’
এ বিষয়ে জানতে বিজিবি ৩৪-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ইয়াবা কারবারিদের গোলাগুলি হয় বলে বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বিজিবির কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বালুখালী বিওপি থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে রহমতের বিল হাজীর বাড়ী এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এ সময় বালুখালী বিওপির একটি বিশেষ টহল দল সেখানে কৌশলগত অবস্থান নেয়। টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা কারবারিরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি শুরু করে।
বিজিবি টহল দল তাদের জানমাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় ইয়াবা কারবারিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি করে। এতে ইয়াবা কারবারিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বিজিবির তড়িৎ ও সুসংহত তৎপরতায় কারবারিরা মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।