× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জবুথবু দিনাজপুরবাসী

দিনাজপুর প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:১৪ এএম

আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:০৫ পিএম

দিনাজপুরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। প্রবা ফটো

দিনাজপুরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। প্রবা ফটো

দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুর। শীতকাল মানেই এই জেলায় ঠান্ডার তীব্রতা অনুভূত হওয়া। মাঘ মাসের শুরুতেই তা দেখা দিয়েছে। জেলার ওপর দিয়ে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া; রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৬ ডিগ্রিতে। যা আরও কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার তা ছিল ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে রয়েছে হিমেল হাওয়া। আজ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা ৯১ শতাংশ, গতিবেগ ০০১ নটস। তাপমাত্রা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’

এদিকে কনকনে শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চাষি, দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষ। তাছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্তের হার বেশি।

বুধবার কাকডাকা ভোরে চাল কিনতে বের হন পঁচাত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ মঙ্গলু বসাক। তিনি বলেন, ‘এমন জাড় (শীতে) জীবনেও দেখিনি বাপ, ঠান্ডাত কইজাটাও (কলিজা) কাঁপেছে। তারপরও বের হইছু বাপ চাউল নিবার লাগিতে। বাড়িত খাওয়া নাই বাপ, এই ঠ্যানা ভেলে ৩০ টাকা কেজিত হাসিনা (শেখ হাসিনা) চাউল দেছে। লাইনত খাড়াইয়া চাউল নিবা হবি, তাই বের হনু আগোতে। ঠান্ডায় জানটা বেইর হই যাবা চাহেছে। হাসিনা সরকার একনা কম্বল দিছে, সেইটাই রাইতোত জড়াই-পল্টাই ঘুমাছুরে বাপ।’

শহরের অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক নাফিজা নাঈম জানান, গত কয়েকদিন ধরে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. বোরহানুল সিদ্দিক জানান, গত ১৫ দিনে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্যান্য হাসপাতালে তিন হাজার ৭৫০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা