কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩১ পিএম
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৫০ পিএম
প্রতীকী ছবি
কক্সবাজারে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে তর্কের জেরে হামলায় দুজনের নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, লারপাড়া এলাকার আবদুল খলিলের ছেলে জয়নাল আবেদীন ও তার ভাই কামাল উদ্দিন।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসংলগ্ন লারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন লারপাড়া এলাকার নুরুল হুদার ছেলে সাইদুল ইসলাম এবং একই এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে কায়সার হামিদ। আহত হয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন একই এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে মুফিজ উদ্দিন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নিহত সাইদুলের ভাই মনিরুল ইসলাম। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
এদিকে নিহতের স্বজনদের বরাতে কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘রাতে লারপাড়ায় স্থানীয় যুবকরা প্রতিদিনের মতো ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। খেলার একপর্যায়ে দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। বাকবিতণ্ডা শেষে তারা খেলার কোর্ট থেকে চলে যান। কিন্তু কিছুক্ষণ পর একপক্ষের কয়েকজন লাঠিসোঁটা ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহত সাইদুল ইসলামের ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম জানান, ব্যাডমিন্টন কোর্ট থেকে চলে আসার পর তিনি ও তার বড় ভাইসহ কয়েকজন লারপাড়াস্থ বোনের জামাতার দোকানের সামনে কথা বলছিলেন। এ সময় জয়নাল আবেদীন, তার ভাই আতিক হোসেন ও কামাল হোসেন এবং একই এলাকার মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সদলবলে এসে সাইদুলের সঙ্গে তর্ক শুরু করে। একপর্যায়ে তারা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে সাইদুলসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, ‘রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত কারণে দুজনের মৃত্যু হয়। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়।’