চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:০৪ পিএম
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ফেইক আইডিতে কোম্পানির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হুমকির অভিযোগে চট্টগ্রামের ইনোভেটিভ ফার্মার সত্ত্বাধিকারী কাজী মোহাম্মদ শহিদুল হাসানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের আরেক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো. রফিক আহমদ মামলা করেন।
সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতের বিচারক জহিরুল কবির মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে আগামী ২৩ মার্চ প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আবু মনছুর প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সোমবার সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালতে মামলা দায়েরের পর আদালত কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।’
মামলায় মোহাম্মদ শহিদুল হাসান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, জাহিদুল করিম ওরফে রিমন, শওকত আলী ওরফে রিফাত, কাজী মোহাম্মদ রুবাইদুল হাসান ও কামাল হোসাইন।
মামলার এজহারের বলা হয়, ইনোভেটিভ ফার্মার সত্ত্বাধিকারী কাজী মোহাম্মদ শহিদুল হাসান এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড থেকে নগদ টাকা ও বাকিতে ওষুধ কিনতেন। সে ধারাবাহিকতায় এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজ তার কাছে অনেক টাকা পান। এ কারণে এলবিয়নের অনুকূলে তিন কোটি ৫৫ লাখ টাকার পাঁচটি চেক দেন শহিদুল হাসান। কিন্তু সেই চেকের টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে ব্যর্থ তিনি। পরে এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজের ব্যবস্থাপক মো. রফিক আহমদ চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে শহিদুলের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করেন।
এই মামলায় জামিন পাওয়ার পর আসামি শহিদুল হাসান এলবিয়ন ল্যাবরেটরিজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার ও হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ ওঠে। সে অভিযোগে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত। এতেও হুমকি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধ না হওয়ায় সাইবার ট্রাইবুন্যালে মামলা করেন তিনি।
এই বিষয়ে মামলার বাদী মো. রফিক আহমদ বলেন, ‘পাওনা টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপ্রচার চালাচ্ছেন আসামিরা। তাই ন্যায় বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি।’