নড়াইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৮:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৩০ পিএম
মামলা প্রত্যাহার ও সুলতান মেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধনে বক্তারা। প্রবা ফটো
নড়াইলে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান মেলায় নিম্নমানের খাবার বিক্রির প্রতিবাদ করায় ‘সাধারণ জনগণ ও সাধারণ ছাত্রদের’ নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মেলার সঠিক তদারকি না করায় মেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) নড়াইল প্রেস ক্লাবের সামনে সচেতন নাগরিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে ওই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ তোফায়েল মাহমুদ তুফান, সদর ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ ঘোষ রাহুল, সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ সিংহ পল্টু, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ইয়ামিন মোল্যা, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মিম খাতুন প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সুলতান মেলার নামে জেলা প্রশাসন ব্যবসা করছে। লাখ লাখ টাকায় স্টল বিক্রি করেছে। অথচ মেলার কোনো নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই। নিম্নমানের খাবার বিক্রি হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মেলা বন্ধের দাবি করেন তারা। মামলা প্রত্যাহার না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকিও দেন।
এ সময় জেলা, সদর উপজেলা, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগ ও নড়াইল পৌর ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সাথে শনিবার বিকালে যোগাযোগ করতে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নড়াইলে সুলতান মেলার রানা ভাইয়ের দইফুচকা দোকানের মালিক মনসুর রানার কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দোকান মালিকসহ ৮ কর্মচারী আহত হয়েছে।
চাঁদা দাবি ও হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় মনসুর রানা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮ জনকে উল্লেখ করে নড়াইল সদর থানায় বৃহস্পতিবার মামলা করেন।
পুলিশ অভিযুক্ত দক্ষিণ নড়াইলের বিনতে হাবিব বর্ষন ও অনিক মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে। তারা দুজনই ছাত্রলীগের নেতা।
মামলায় বলা হয়, সুলতান মেলায় দোকান দেওয়ার শুরু থেকে আমার কাছে জয়, মিজান, বর্ষন, অনিকসহ অজ্ঞাতপরিচয় আট-নয়জন ১০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি দিতে রাজি না হওয়ায় আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। সেই কারণে বুধবার সন্ধ্যায় দোকানে এসে হামলা ভাঙচুর করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এতে আমিসহ দোকানের কর্মচারী নাজমুল, মাহফুজার, ডিপজল, জিহাদ, রানাসহ ৮ জন আহত হয়।