সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:১১ পিএম
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৩০ পিএম
অভিযুক্ত শিক্ষক শামসুজ্জামান। সংগৃহীত ছবি
সাতক্ষীরার দেবহাটায় চতুর্থ শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসাশিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
ওই শিক্ষকের নাম শামসুজ্জামান। তিনি এলাহী বকস দাখিল মাদ্রাসার ক্রীড়াশিক্ষক।
গত কয়েক বছরে তার বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচবার ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠল।
মাদ্রাসা সুপার মাওলানা রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এর আগেও কয়েকবার তিনি একই অপরাধ করেছেন। সেজন্য অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভিকটিমের বাবা জানান, মাদ্রাসা ভবনের দোতলার একটি কক্ষে নিয়ে কখনও ভয়ভীতি, কখনও টাকার লোভ দেখিয়ে ওই শিক্ষক গত কয়েক মাসে তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে বলাৎকার করেছেন। সপ্তাহখানেক আগে ফের বলাৎকার করলে ছেলেটা অস্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফেরে। পরিবারের সদস্যরা জিজ্ঞাসা করলে সে বলাৎকারের বিষয়টি জানায়।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই শিক্ষক আত্মগোপন করেন। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি। একপর্যায়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে হাজির করে ভিকটিমের পরিবার। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পর থেকেই তিনি পলাতক।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শিক্ষক শামসুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুল হক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, বারবার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বলাৎকারের মতো জঘন্য ঘটনার জন্য কেবল সাময়িক বরখাস্ত উপযুক্ত কোনো শাস্তি হতে পারে না। ভিকটিমের পরিবারকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
তিনি জানান, সালিশের পর থেকেই ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্যাহ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ছাত্র বলাৎকারের বিষয়টি জেনে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ভিকটিমের পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।