কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪০ পিএম
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৫৫ পিএম
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১১ সংগঠনের সংবাদ সম্মেলন। প্রবা ফটো
নাব্য সংকট দেখিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখায় ৫ লাখ মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১১ সংগঠনের। এ জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে এ রুটে জাহাজ চলাচলের দাবি জানিয়েছেন তারা। দাবি আদায় না হলে, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার শহরের লাবণী পয়েন্টে এক হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উঠে আসে।
পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১১টি সংগঠনের যৌথ ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংগঠনগুলো হলো ট্যুর অপারেটরস অ্যসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, সী-ক্রুজ অপারেটর অনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতি, সেন্টমার্টিন আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতি, সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতি, ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতি, কক্সবাজার বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, কক্সবাজার বাস-মিনিবাস মালিক গ্রুপ, সেন্টমার্টিন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ও সেন্টমার্টিন বাজার মালিক সমিতি।
এতে লিখিত বক্তব্যে ট্যুর অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, ‘চলতি মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তারা নাব্য সংকটের বিষয়টি সামনে এনেছে। নাব্য সংকট সত্যিই থাকলে মিয়ানমার থেকে মালামাল পরিবহন অব্যাহত থাকত না। মিয়ানমার থেকে টেকনাফে কীভাবে জাহাজ আসছে।’
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ সেবার সঙ্গে অনেকের জীবিকা জড়িত। এ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করায় অন্তত পাঁচ লাখ মানুষের জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।’
পর্যটক মৌসুমে কক্সবাজার ভ্রমণকারীদের অধিকাংশ পর্যটক সেন্টমার্টিনও ভ্রমণ করে উল্লেখ করে পর্যটন ব্যবসায়ী নেতা আনোয়ার কামাল আরও বলেন, ‘দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন মূল ভূখণ্ড থেকে ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে। যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সমুদ্রপথ। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সমুদ্র শান্ত থাকায় এ সময়ে পর্যটকরা ভ্রমণের সুযোগ পায়। এবার এ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে পর্যটন খাতকে আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ১ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ পর্যটক সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করেছেন। পর্যটন মৌসুমের ১৫১ দিনে গড়ে দৈনিক ১ হাজার ৬৩ জন মানুষ সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করেন। নব্য সংকট দেখিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটন পরিবহন জাহাজ বন্ধ আছে।
এদিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলচলের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার (১১ জানুয়ারি) নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয় বৈঠক করবে। তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ট্যুর অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক একেএম মনিবুর রহমান টিটু, কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান, কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ, সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম, জেলা হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম প্রমুখ।