লালমনিরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:২৯ পিএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৮ পিএম
প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন। প্রবা ফটো
লালমনিরহাটের আদিতমারীর নামুড়ী এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে অপহরণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
নুরুল আমিন আদিতমারী উপজেলার দোলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।
আদিতমারী থানার ওসি মো. মোকতারুল ইসলাম শিক্ষক অপহৃত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুর রউফ তার বাবার সন্ধান চেয়ে শনিবার (৭ জানুয়ারি) একটি মামলা করেছেন। আমরা অপরাধী শনাক্ত ও ভিকটিমকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
নুরুল আমিনের বড় ভাই নামুড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে একটি সাদা ও একটি কালো রংয়ের মাইক্রোতে ১০ থেকে ১২ জন লোক পুলিশ পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে নুরুল আমিনকে জোড়পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আমি ও আমার চাচা আবু তালেব বাঁধা দিলে আমাদেরকেও মারধর করা হয়। আমি ও আমার চাচা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। এখনো আমার ভাইয়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
আব্দুর রউফ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমার বাবাকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চলছে। সবাই যোগাযোগ করছে। এখন ব্যস্ত আছি বেশি কিছু বলতে পারবো না।’
আদিতমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনএম শরিফুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনের বাবা আজিজার রহমান আমাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত ওই শিক্ষকের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছিল-সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও তার পরিবার ভালো বলতে পারবে। জেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে আমরা বিষয়টি খোঁজখবর রাখছি।’
লালমনিরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষক নুরুল আমিন অপহৃত হয়েছে কিনা বিষয়টি আমার জানা নেই। তার পরিবারও কোনো কিছু জানায়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আদিতমারী উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার জান্নাতুন ফেরদৌসীকে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরজমিনে পাঠানো হয়েছে। তিনি পরিবার ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন দেবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লালমনিরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আতিকুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে উদ্ধার ও অপরাধীদের আইনের আওতায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত নেই। কে বা কারা জড়িত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পর তা পরিষ্কার বোঝা যাবে।’
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।