বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:৩০ এএম
আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫৬ পিএম
৫ জানুয়ারি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রবা ফটো
বান্দরবানের লামায় রেংয়েনপাড়ায় ম্রোদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার ৭ দিন পর মামলা করা হয়েছে। পাড়ার কার্বারি (গ্রামপ্রধান) রেংয়েন ম্রো বাদি হয়ে শনিবার (৭ জানুয়ারি) রাবার কোম্পানীর প্রকল্প পরিচালক কামাল উদ্দিনসহ সন্দেহভাজনর বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লামা থানার ওসি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।
লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে রেংয়েনপাড়ায় গত ১ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ম্রোদের বাড়িঘরে আগুন, হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর ঘটনার সত্যতা নিয়ে তদন্ত করতে ৫ জানুয়ারি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দল ওই পাড়া পরিদর্শন করে। এ সময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করায় ঘটনার ৭ দিন পর মামলা করেন বলে জানান রেংয়েন ম্রো।
ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রেংয়েনপাড়ায় হামলার ঘটনা জানার পর থেকেই পাড়াতে গিয়ে মামলা করার জন্য তাদের বুঝানো হচ্ছিল। ঘটনার ৭ দিন পর কারবারিসহ মোট ৫-৬জন গ্রামবাসী থানায় এসে রাবার ইন্ডাস্ট্রির মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ওই ঘটনায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে প্রায় ১৫০/১৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওই ঘটনায় এতদিন যাবৎ মামলা না করার কারণ জানতে চাইলে পাড়ার কার্বারি রেংয়েন ম্রো বলেন, ‘আমাদের পাড়ায় এর আগেও অনেকবার হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমাদের জুমের বাগান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে, বৌদ্ধ মন্দির ভেঙে দিয়েছে, কলাগাছ কেটে দিয়েছে, আমাদের খাবার পানির ঝিড়িতে বিষ দিয়েছে, তখনো থানায় অভিযোগ করেছিলাম কিন্তু কোনো কাজ হয় নাই। আবার অভিযোগ দিয়ে আসার পর আমরা বাজারে পর্যন্ত যাইতে পারি না, রাবার কোম্পানির লোকরা দেখলে মারধর করে।’
কোম্পানীর লোকজন পাড়ার আশপাশে রাবার বাগানে লুকিয়ে আমাদের নজরদারি করে। তাদের ভয়ে থানায় গিয়ে মামলা করতে ভয় পাচ্ছিলেন বলে জানান তিনি। কিন্তু মানবাধিকার কমিশন সদস্যদের আশ্বাসের পর রাবার কোম্পানীর প্রকল্প পরিচালক কামাল উদ্দিনকে প্রধান করে মামলা করা হয়।