বান্দরবান সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:২২ পিএম
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৮ পিএম
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের মানববন্ধন। ছবি : প্রবা
বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে রেঙয়েন কার্বারিপাড়ায় ম্রো জনগোষ্ঠীর বসতঘরে হামলা, আগুন ও লুটপাটে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন করেছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ মানববন্ধন করা হয়।
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য সোনারিতা চাকমার সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা, যুব সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙামাটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী এলি চাকমা প্রমুখ।
কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা বলেন, ‘বান্দরবানের লামায় রেঙয়েন কার্বারিপাড়ার ম্রোদের উচ্ছেদ করে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড রাবারবাগান করতে চাচ্ছে। অনেকদিন ধরে রাবার কোম্পানির লোকজন ম্রোদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও লামা উপজেলা প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ অবস্থায় রাবার কোম্পানির লোকজন সাহস পেয়ে সর্বশেষ ম্রোদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে।’
তিনি এ সময় সরকারের প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।
গত ২ জানুয়ারি মধ্যরাতে রেঙয়েন কার্বারিপাড়ায় বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ও লুটপাট হয়। সেখানে ৫ থেকে ৬ ট্রাকভর্তি লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে এসে রাবার কোম্পানির লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় সাতটি বসতঘরে আগুন দেওয়া হয়। যার তিনটি বাড়ি পুড়ে যায়। এ ছাড়া ১০টি ঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছে হামলাকারীরা।
এক বছর ধরে লামার ম্রো ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৪০০ একর ভূমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে। এর আগেও জুমের বাগান পুড়িয়ে দেওয়া, কলা গাছ কেটে দেওয়া, পানির উৎসে বিষ ছড়িয়ে দেওয়াসহ নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন ম্রোপাড়ার বাসিন্দারা। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন নাগরিক তথ্যানুসন্ধানে এসব অভিযোগের সত্যতাও প্রমাণিত হয়েছে।