নোয়াখালী সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:১৬ পিএম
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৫৭ পিএম
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট দিতে প্ররোচিত করার অভিযোগে এক পোলিং এজেন্টকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ২ টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চড় উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালী ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে তালগাছ প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে পশ্চিম চড় উড়িয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন মো. সেলিম। তিনি এক নারী ভোটারকে ইভিএমে তালগাছ প্রতীকে ভোট দিতে প্ররোচিত করেন। এই অভিযোগে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেসবাহ উদ্দিন তাৎক্ষণিক সেলিমকে স্কুলের পিলারের সঙ্গে রোদের মধ্যে বেঁধে রাখেন।
এসময় মো. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘অনিয়ম করলেই শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মাত্র একজনকে বেঁধে রেখেছি। আপনারা সাংবাদিক যারা আছেন তারা ছবি তোলেন।’
মো. সেলিম বলেন, ‘ইভিএম নতুন পদ্ধতি। নারীরা কখনো ইভিএম এ ভোট দেয়নি। আমি তাদের দেখিয়ে দিয়েছি। আমাকে এভাবে বেঁধে রাখার চেয়ে মেরে ফেললে ভালো হতো। ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।’
বৃহত্তর নোয়াখালীর মানবাধিকার কমিশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবিএম কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এভাবে বেঁধে রাখা মানবাধিকার লঙ্ঘন। তার দোষ থাকলে শাস্তির ব্যবস্থা আছে। কিন্তু এভাবে রাখা ঠিক হয়নি।’
তালগাছ প্রতীকে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার জোছনা বেগম বলেন, ‘সব বুথে এভাবে দেখানো হয়েছে। এটা ভোটারদের সুবিধার জন্য। কিন্তু একটা মানুষকে এভাবে বেঁধে রাখার কোনো মানে হয় না। আমি অনেকবার বলেছি, আমার কথা শোনেনি নির্বাচন কর্মকর্তা।’
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম বলেন, ‘আমি বিষয়টা মাত্র জেনেছি। কীভাবে সমাধান করা যায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলছেন বাধন খুলে দিতে। আমি খুলে দিয়েছি।’