জয়পুরহাট সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:০৫ পিএম
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:০৮ পিএম
শনিবার ভোরে জয়পুরহাট সদর উপজেলার সগুনা থেকে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ছবি : প্রবা
জয়পুরহাট সদর উপজেলার সগুনা থেকে ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরা জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাদের আটক করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।
প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ নূরে আলম।
পুলিশ বলছে, আটক ব্যক্তিরা ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণমিছিল’ লেখা একটি ব্যানার হাতে নিয়ে মিছিল করছিলেন। মিছিলটি হিচমি-পুরানাপৈল বাইপাস সড়ক থেকে সগুনা প্রধান সড়কে উঠলে তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশ ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ধাওয়া দিয়ে ১২ জনকে আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের দলীয় পদপদবির তথ্য পাওয়া গেছে। এরা হলেন—সদরের কাশিড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা জামায়াত সদস্য শহিদুল ইসলাম, শহরের প্রফেসরপাড়া মহল্লার আমিনুল ইসলাম, হাঁটুভাঙ্গার বাসিন্দা জামায়াতের সদর উপজেলা শাখার সহসভাপতি শাহ আলম দেওয়ান, শিবির কর্মী দশম শ্রেণির ১৬ বছর বয়সি একজন ছাত্র, মিটনা গ্রামের বাসিন্দা ও জামায়াত সদস্য নাহিদুল ইসলাম, কড়ই এলাকার বাসিন্দা ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি আসাদুল ইসলাম, পাঁচবিবির জাম্বুবান এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ, ওই এলাকার বাসিন্দা শিবিরের সদস্য সোহরাব হোসেন, পাঁচবিবির লকনাহার গ্রামের মেশকাত শরীফ, সদরের ঘোনাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিবির কর্মী মেহেদি হাসান, সদরের শ্যামপুর এলাকার মো. শিপন এবং মো. নূরনবী।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম বলেন, ‘সকালে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা একত্র হয়ে নাশকতার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পুলিশ সেখানে গেলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পুলিশ ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে সেখান থেকে জামায়াত-শিবিরের ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যানার, ১০টি ককটেল ও লাঠিসোটা জব্দ করা হয়।’