রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৩৩ পিএম
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:২৩ পিএম
নগরীর আদর্শ পাড়া স্কুলের কেন্দ্রে মক ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। ছবি : প্রবা
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে ইভিএমে ভোট প্রয়োগের ধারণা দিতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে নেওয়া মক ভোটিং নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ঢিলেঢালাভাবে মক ভোটিংয়ে এ কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। অপরদিকে ইভিএমে স্বচ্ছ ভোট হবে বলে আশাবাদী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। ভোট হবে ইভিএমে। এতে কীভাবে ভোট দেওয়া যায়, তা দেখাতে শুক্রবার সকাল থেকে নগরীতে দুই দিনব্যাপী ইভিএমে মক ভোটিং বা ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কয়েকটি মক ভোটিং কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ইভিএমে ভোট প্রদান পদ্ধতি সম্পর্কে ভোটারদের সচেতন করতে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে মক ভোটিং কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে সেটি শুরু হয়েছে আরও দেরিতে। শুক্রবার হওয়ায় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ৩৩টি স্থানের বেশির ভাগ জায়গায় এ প্রচারণা কার্যক্রমে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। বিচ্ছিন্নভাবে স্বল্প সংখ্যক তরুণ ভোটাররা এসে ইভিএমে ভোট প্রদান পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে গেছেন। তবে কিছু ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের তৎপরতায় ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
এ বিষয়ে দুপুরে এক গণসংযোগে বেরিয়ে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম আমাদের মতো করে ইভিএম নিয়ে প্রচারণা চালাই, কিন্তু তারা বললেন এতে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। কিন্তু শেষ সময়ে কমিশনের এ ঢিলেঢালা প্রচারণা ভোটারদের তেমন কাজে আসছে না। শতকরা ১০ ভাগ মানুষের কাছেও এ প্রচারণা পৌঁছাচ্ছে না, আর বাকি ৯০ ভাগ মানুষের কাছে ইভিএমে ভোট প্রদান এখনও অজানা রয়েছে।’
ইভিএম প্রচারণা নিয়ে কমিশন সফল হতে পারবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কারণ তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট নেই, ম্যান পাওয়ার নেই। কথা অনেক বলা যায়, কিন্তু বাস্তবতা অনেক ভিন্ন। ইভিএমের কারণে আমার অনেক ভোট নষ্ট হবে। কমিশনের প্রচারণার ধীরগতিতে বলা যায় ইভিএমে প্রচারণায় তারা ব্যর্থ।’
অপরদিকে ইভিএমে স্বচ্ছ ভোট হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, ‘আমি গণসংযোগের সময় ভোটারদের ইভিএম নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলেছে ইভিএমে কোনো ভয় নেই, ইভিএমে স্বচ্ছতা আছে। ভোটাররা এ আধুনিক পদ্ধতি ভোট প্রদানের সব নিয়ম-কানুন জেনে গেছেন। এর মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হবে বলে আমার প্রত্যাশা।’
এদিকে ইভিএমে ভোট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘ইভিএমে নির্বাচনের আগে আমরা দুই দিনব্যাপী ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট কিংবা এনআইডি নম্বর দিয়ে ভোট প্রদান পদ্ধতি শিখছেন। সেই সাথে তারা যে প্রতীকে ভোট দিচ্ছেন, সেই প্রতীকে ফলাফল কাউন্ট হচ্ছে কি না তা দেখতে পারছেন।
‘এ কার্যক্রম ভোটাদের অবহিত করতে মাইকিং চলছে। এ ছাড়া রংপুর নগরীর মানুষ ইতোপূর্বে সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ আরও তিনটি নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দিয়েছে। তাই ইভিএমে ভোট প্রদান নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’