যশোরে ১০ দিনেই বিকল হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন

যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিটাল আল্ট্রাসনো যন্ত্রটি ১০ দিনেই বিকল হয়ে পড়েছে। ফলে এক মাস ধরে এ হাসপাতালে রোগীরা আল্ট্রাসনোগ্রাফি সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। হাসপাতালে সেবা না পেয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে বাইরের ডায়াগনস্টিক কেন্দ্র থেকে রোগীদের আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে হচ্ছে।

দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পর ১২ নভেম্বর মনিরামপুর হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফির সেবা চালু হয়ে চলেছে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।

উপজেলার জালালপুর গ্রামের আমির হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী গর্ভবতী। বাচ্চার অবস্থান জানতে সোমবার মনিরামপুর হাসপাতালে আল্ট্রাসনো করাতে গিয়েছিলাম। জানতে পারলাম আল্ট্রাসনোগ্রাফির কাজ চলছে না। যন্ত্র নষ্ট হয়ে গেছে।’

আমির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি হাসপাতাল-প্রধানকে জানাই। তিনি একই কথা বলেছেন। পরে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে বাইরে থেকে আল্ট্রাসনো করিয়েছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘নতুন যন্ত্র পেয়ে গত মাসের ১২ তারিখ হাসপাতালে আল্ট্রাসনোর কাজ শুরু হয়েছে। ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনে ৩০০ টাকা করে ৪৮ জন রোগীকে আল্ট্রাসনোর সেবা দিতে পেরেছি।’

তন্ময় বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্রের ভেতরে পুড়ে যাওয়ায় এর পর থেকে এ সেবা বন্ধ আছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানোর পর তারা এসে নষ্ট যন্ত্রাংশ নিয়ে গেছেন। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যন্ত্র মেরামত হলে দ্রুত আবার আল্ট্রাসনো সেবা চালু করা হবে।’

মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আল্ট্রাসনো যন্ত্র বিকল থাকায় চার বছর রোগীরা হাসপাতালে এ সেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। গত অক্টোবরে স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। ওই সময় তিনি বিষয়টি জানতে পেরে নতুন ডিজিটাল আল্ট্রাসনো যন্ত্রের ব্যবস্থা করে দেন।