× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নদীতে ভাঙছে হুমায়ূনপুর ঘাট, দুর্ভোগে ৬৫ গ্রামের মানুষ

মধ্যাঞ্চলীয় ব্যুরো

প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৫১ এএম

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৫৯ পিএম

বিলুপ্ত প্রায় হুমায়ূনপুর ঘাট। ছবি : প্রবা

বিলুপ্ত প্রায় হুমায়ূনপুর ঘাট। ছবি : প্রবা

কিশোরগঞ্জের হাওর ও উজানের বাজিতপুর উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঘোড়াউত্রা নদী। এই নদীর হুমায়ূনপুরের ঘাট দিয়ে প্রতিদিন বাজিতপুর উপজেলাসহ মিঠামইন, ইটনা, অষ্টগ্রামের ১৫টি ইউনিয়নের ৬৫টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু নদীর ভয়াবহ ভাঙনে হুমায়ূনপুর ঘাটটি বিলীন প্রায়। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চরম দুর্ভোগ নিয়ে এই পথে যাতায়াত করছেন। 

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন হুমায়ূনপুর ঘাট দিয়ে হাওরের বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য মানুষ ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, নৌকাসহ বিভিন্ন জলযানে যাওয়া-আসা করে। দীর্ঘদিন ধরে ঘাটটি চালু থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো বব্যবস্থা নেয়নি। ভাঙন প্রতিরোধসহ লোকজন ও মালামাল উঠা-নামা করার জন্য ঘাটে কোনো জেটি নেই। এমনকি ট্রলার কিংবা নৌকায় ওঠার কোনো পাটাতন নেই। প্রতিদিন ঢেউয়ের আঘাতে ঘাটটি ভাঙছে। গত দুই মাসে প্রায় ৫০ ফুট পাড় ভেঙে ঘাটের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে।  

হুমায়ূনপুর গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ রজব আলী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, প্রতিদিন ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, নৌকাসহ বিভিন্ন জলযানে মালামাল নিয়ে ঘাট পার হতে হয়। ভাঙা ঘাটে মাল ওঠা-নামায় বিশেষ কোনো ব্যবস্থা না থাকায় নৌকার চালকসহ ব্যবসায়িদের খুবই সমস্যা হয়। 

অষ্টগ্রাম সদরের ব্যবসায়ী রহম আলী বলেন, বাজিতপুর থেকে পাইকারি মাল কিনে এই ঘাট দিয়ে অষ্টগ্রাম, মিঠামইনসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রির জন্য নিতে হয়। কিন্তু ঘাটের অস্তিত্ব না থাকায় মালামাল বহনের জন্য শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে।

অতি দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের ব্যবসায়ী শাখাওয়াৎ হাসান পিপলি জানান, প্রতিদিন নারী-শিশুসহ অসংখ্য যাত্রী ও মালামাল এ ঘাটের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় যায়। যাত্রীদের ওঠা-নামার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় খুবই সমস্যা হয়। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 

বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মোরশেদা খাতুন বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থাসহ যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ঘাটে একটি জেটির ব্যবস্থা করা জরুরি। এটি করা হলে ৬৫টি গ্রামের মানুষ উপকৃত হবে। ব্যবসায়ীরাও মালামাল আনা-নেওয়ার কাজে সুবিধা পাবে। প্রতিদিন ঢেউয়ের আঘাতে ঘাট এলাকা যেভাবে ভাঙছে, তাতে একদিন ঘাটের অস্থিত্বই হারিয়ে যাবে।

অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস বলেন, বাজিতপুরের হুমায়ূনপুর ঘাটটি অষ্টগ্রাম উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করে থাকে। তাই ভাঙন প্রতিরোধসহ ঘাটের উন্নয়ন ব্যবস্থা জরুরি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, 'ঘোড়াউত্রা নদী নিয়ে তাদের বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে। বেশ কিছু বাঁধ নির্মাণসহ নদী শাসন প্রকল্প রয়েছে। এতে করে হুমায়ূনপুর ঘাটের উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। প্রয়োজনীয় জরিপ ও সমীক্ষা চলছে। ঘোড়াউত্রা নদীর স্রোতধারা খুবই গতিশীল। তাই সার্বিক জরিপ ও সমীক্ষা শেষে ভাঙন প্রতিরোধসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।'

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, সড়কগুলোর যে অংশ ভাঙছে তা মেরামতের উপযুক্ত কিনা, স্থায়ী এবং টেকসই হবে কিনা তা নিয়ে টিম কাজ করছে। পরে মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা