ফেনী সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:০৩ পিএম
সোনাগাজীতে কুকুরের কামড়ে ১৭৫টি ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। ছবি: প্রবা
ফেনীর সোনাগাজীতে বন্য কুকুরের আক্রমণে ১৭৫টি ভেড়ার মৃত্যু হয়েছে। মৃত ভেড়াগুলোর বাজার মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন খামার মালিক। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের আবদুল্লাহর চরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর স্থানীয় কৃষক ও খামারিরা কুকুরের ভয়ে তাদের গরু, ছাগল, ভেড়াসহ গবাদীপশু সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছেন। অনেকে গবাদীপশু মাঠে চরানোরও সাহস পাচ্ছেন না।
ক্ষতিগ্রস্থ খামার মালিক নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববতী সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের আবদুল্লার চরে আমার নামে আমি একটি ভেড়ার খামার গড়ে তুলেছি। খামারে মোট ২৭৫টি ভেড়া ছিল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খামারের রাখাল সেলিম পাশের বাজারে নাস্তা করতে যায়। এ সুযোগে ছয়টি বন্য কুকুর খামারে হানা দেয়। ওই সময় ছয়টি কুকুরের কামড়ে মোট ১৭৫টি ভেড়া মারা যায়। এদের মধ্যে ১২০টি ভেড়া গর্ভবতী ছিল।
এ ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে সোনাগাজীর একাধিক খামারি অভিযোগ করেন, প্রয়োজনে বা বিপদে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশে পাওয়া যায় না। তারা কখনও খামারে আসলেও ফি দিতে হয়। শুক্রবার রাতে আবদুল্লাহর চরে পাগলা কুকুরের কামড়ে শতাধিক ভেড়া মারা গেলেও এখন (সন্ধ্যা ৬টা) পর্যন্ত প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
সোনাগাজী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী বলেন, ‘ঘটনাটি আমাকে লোকজন মোবাইলে জানিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, ‘খামারিদের বিপদে-আপদে পাশে থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা প্রাণি সম্পদ বিভাগের দায়িত্ব। তবে চরাঞ্চলে শতাধিক ভেড়া মারা যাওয়ার ঘটনার পর পুরো দিন কেটে গেলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যাননি। বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’
ফেনী জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার ১২ ঘণ্টার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে না পৌঁছানো দু:খজনক বিষয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’