× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রানওয়ের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা

তরিকুল ইসলাম মিঠু, যশোর

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৯:১৫ এএম

আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৯:২৬ এএম

নির্দিষ্ট সময়ে শুরু না করায় এখনও চলছে যশোর বিমানবন্দরের রানওয়ে নির্মাণ কাজ

নির্দিষ্ট সময়ে শুরু না করায় এখনও চলছে যশোর বিমানবন্দরের রানওয়ে নির্মাণ কাজ

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি মাত্র বিমানবন্দর আছে। সেটি হলো যশোর বিমানবন্দর। ১৯৪১ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। এটি দেশের একমাত্র বিমান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

যশোরবাসী বিমানবন্দরটি নিয়ে মনের কোণে অনেক স্বপ্ন পুষে রেখেছিলেন। তারা আশা করেছিলেন, এটিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মর্যাদা দেওয়া হবে। দীর্ঘদিনের সেই দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে যশোর বিমানবন্দরের রানওয়ে বাড়ানোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩৭৫ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজের সময় বেঁধে দেওয়া হয় ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৮২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৪৫ মিটার প্রস্থের বিমানবন্দরের রানওয়ে নির্মাণে দুই বছরের মধ্যে কাজ হয়েছে খুব কম। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না ধরায় এখন পর্যন্ত ১৭ শতাংশ কাজ হয়েছে। রানওয়ে বাড়ানোর কাজ করছে ঢাকার তেজগাঁওয়ের তানভির কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

নির্দিষ্ট সময়ে রানওয়ের কাজ শুরু না করায় কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। অন্যদিকে শিডিউল মোতাবেক কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের হাতে বেশি সময়ও নেই। আর মাত্র কয়েক মাস বাকি আছে।

যশোর বিমানবন্দরের একাধিক সূত্র বলেছে, কাজের শিডিউলের সময় ফুরিয়ে আসায় বর্তমানে রাত ৮টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে কাজে অতিনিম্নমানের উপদান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বাকি কাজ কখন শেষ হবে তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যশোর বিমানবন্দর সংশ্লিষ্টাও জানেন না কাজ আগামী অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে কি না। রানওয়ের কাজের ধীরগতির ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন যশোরবাসী।

যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরে ৩৭৫ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রানওয়ের শক্তি বাড়ানোর প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে বলে আশা করেছিল যশোরবাসী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেন যথাসময়ে কাজ শুরু করলো নাÑ তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে।

সম্প্রতি সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে, ঠিকাদারের লোকজন প্রকল্প এলাকায় সাংবাদিকদের যেতে বাধা দিয়েছে। তাদের বাধা ডিঙিয়ে প্রকল্প এলাকায় ঢুকে দেখা যায়, নিম্নমানের পাথর ও পাথরের ডাস্টের গুঁড়া স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও ওয়েস্টেজ পাথরও রাখা হয়েছে। রাতের আঁধারে এগুলো মিক্সিং করেই রানওয়ের ওভারলের কাজ করা হচ্ছে।

যশোর সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ পাভেল চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের ঠিকাদার সম্পর্কে সরকারি কাজ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা আছে। দিনের কাজ দিনে না করে, রাতে করা হলে তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্নে রয়ে যায়।

রাতে কাজ করার কারণ জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পিজিএম শাহাদাত হোসেন বলেন, দিনে বিমান চলাচল করে। তাই আমরা রাতেই কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।

কাজের নিতিমালা সম্পর্কে বিমানবন্দর উন্নয়নের পরিচালক পিডি আমিনুল হকের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নাকি তার ফোনে নজরদারি করে থাকে। তাই তিনি এ বিষয়ে বিমানবন্দর চেয়ারম্যানের পিএস চিফ ইঞ্জিনিয়ার জাকারিয়ার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। 

এ ব্যাপারে যশোর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান বলেন, দিনে বিমান ওঠা-নামা করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাতে কাজ করছে। নির্ধারিত সময়ে কাজ করতে না পারার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি সেনাবাহিনীর এলাকা। বিমানবন্দরটি সেনানিবাসের পেটের মধ্যে। জায়গা সংকটের কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি তাদের কাজের যন্ত্রাংশ আনতে পারেনি। তাই দেরি করে কাজ শুরু করেছে। কাজের মান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ দেখাশোনার জন্য কুয়েট কনসালটেন্সি রয়েছে। তারা কাজ দেখা শোনা করছে। তাই কাজের গুণগত মান সম্পর্কে তারাই ভালো বলতে পারবে বলে তিনি জানান।

বিষয়টি নিয়ে সিভিল অ্যাভিয়েশন চেয়ারম্যানের (পাবলিক রিলেশন অফিসার) চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাকারিয়া হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা