বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫ ২২:৩১ পিএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫ ২২:৩৪ পিএম
বগুড়ায় অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগ তুলে এক যুবকের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। চতুর্থ এপিবিএন (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন)-এর ড্রাইভার কনস্টেবল, বাকিরা সবাই কলেজছাত্র।
অভিযুক্তরা পুলিশ পরিচয়ে সরকারি পিকআপ ভ্যানে করে অভিযান চালিয়ে টাকা আদায় করলেও পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর পরিবারের ফোন কলের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ তাদের আটক করে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
আটককৃতরা হলেনÑ বগুড়া চতুর্থ এপিবিএন কনস্টেবল (ড্রাইভার) আল হাদী, কলেজছাত্র তারেক রহমান, শাহরিয়ার রহমান, আবিদ হাসান, সাদিক আকবর ও আব্দুল্লাহ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ড্রাইভার কনস্টেবল আল হাদী তার চাচাতো ভাই তারেকের মাধ্যমে জানতে পারেন, পার্শ্ববর্তী কাতলাহার গ্রামের বাসিন্দা ওয়ালিদ অনলাইনে জুয়া খেলে। এরপর সরকারি এপিবিএন পিকআপ ভ্যান নিয়ে তারা বুধবার (২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ওয়ালিদের বাড়িতে যান এবং নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করার চেষ্টা করেন। এ সময় ওয়ালিদের বাবা শফিকুর রহমান ফটু ভয় পেয়ে তাদের হাতে ৭০ হাজার টাকা তুলে দেন। তবে ঘটনার পরপরই তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানালে গাবতলী ও সদর থানা পুলিশ অভিযানে নামে। রাত দেড়টার দিকে সাবগ্রাম বাইপাস এলাকায় পিকআপ ভ্যানটি থামিয়ে ছয়জনকে আটক করা হয়।
আটককৃত এপিবিএন সদস্য আল হাদী পুলিশ হেফাজতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ওয়ালিদের অনলাইন জুয়ার অভিযোগে তাকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে পিকআপ নিয়ে কাতলাহারে যাই। ওয়ালিদের বাবা স্বেচ্ছায় ৭০ হাজার টাকা দেন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, ‘আটককৃত এপিবিএন সদস্য আল হাদীর পরিবারের সঙ্গে শফিকুর রহমান ফটুর পূর্ববিরোধ ছিল। তাকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই তারা পুলিশের গাড়ি ব্যবহার করে এ কাজ করেন। বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে চতুর্থ এপিবিএনের অধিনায়ক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) শহীদ আবু সরোয়ার বলেন, ‘ড্রাইভার কনস্টেবল আল হাদী কাউকে না জানিয়ে সরকারি গাড়ি নিয়ে বের হন এবং পরে সদর থানা পুলিশের হাতে আটক হন। সরকারি গাড়িটি ইতোমধ্যে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’