বরিশাল জিলা স্কুল
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫ ২২:২৯ পিএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫ ২২:৩৫ পিএম
বিশ বছর পর অবশেষে বরিশাল জিলা স্কুলের জমিতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় অবৈধ দখল উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়। স্কুলের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত পরেশ সাগর মাঠ ২০ বছর ধরে অবৈধ দখলদারদের কবলে ছিল।
জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসিবুল হাসান এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল জিলা স্কুল এশিয়া মহাদেশের অন্যতম প্রাচীন, বরিশাল বিভাগ তথা দক্ষিণবঙ্গের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঐতিহ্যবাহী বরিশাল জিলা স্কুল ১৮২৯ সালে ‘বরিশাল ইংলিশ স্কুল’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫৩ সালে ব্রিটিশ সরকার এর ব্যয়ভার ও পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এর নাম হয় ‘বরিশাল জিলা স্কুল’। এটি বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন ও আয়তনের দিক থেকে বৃহৎ মাধ্যমিক স্কুল।
দীর্ঘদিন পর নিজেদের মাঠ দখলমুক্ত হওয়ায় জিলা স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ইতোমধ্যে বরিশাল জিলা স্কুলের ঐতিহ্যবাহী পরেশ সাগর মাঠ উন্নয়নের জন্য ভরাটের কাজ শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মাঠের সৌন্দর্যবর্ধন ওয়াকওয়েসহ অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পরবর্তীকালে দুপুরের দিকে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. রায়হান কাওছার ও জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জানান, বরিশাল সিটি করপোরেশনের অবৈধ দখল ও নিয়মবহির্ভূত স্থাপনাগুলো পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা জানান, অবৈধভাবে দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য এর আগে এত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আর খেলার মাঠ পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) অনিতা রানী হালদার বলেন, মোট ১৮ একর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে পলিটেকনিকের হোস্টেলের বাবুর্চিরা থাকতেন। তারা বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে দখলকৃত জমিতে স্থাপনা বানায়। আজ সেই জমি আমরা উদ্ধার করেছি। ছেলেদের একটা খেলার মাঠ হলো। আশা করছি এই মাঠ শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।