বগুড়া অফিস
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫ ২০:৫১ পিএম
আপডেট : ৩০ জুন ২০২৫ ২১:০১ পিএম
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়নে ২০০৬ সালে বিএনপির শাসনামলে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমানের উদ্যোগে ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। তবে দীর্ঘ ১৯ বছর পার হলেও হাসপাতালটি নির্মাণ হয়নি।
শুধু ভিত্তিপ্রস্তরই রয়ে গেছে কালের সাক্ষী হয়ে। অবশেষে ওই জায়গায় বগুড়া জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে, যা কাগইল ও আশপাশের এলাকার মানুষের জন্য আনন্দের সংবাদ।
সোমবার (৩০ জুন) বিকালে এ অস্থায়ী চিকিৎসা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এমআর হাসান পলাশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেনÑ বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিল্টন। সভাপতিত্ব করেন কাগইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেনÑ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল হক মমিন, শাহাদাত হোসেন খান সাগর এবং গাবতলী পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ। এ সময় ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এমআর হাসান পলাশ জানান, এই কার্যক্রম আপাতত অস্থায়ী ভিত্তিতে শুরু হচ্ছে। প্রতি মাসে দশ দিন পর পর একদিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে। চিকিৎসা সেবা দেবেন বগুড়ার অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। প্রথম দিনে শতাধিক রোগী এখান থেকে চিকিৎসা সেবা নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
স্থানীয় মূল সড়কের কাছেই একটি ফলকে লেখা রয়েছে, কাগইল ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল। গাবতলী, বগুড়া। উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান ও স্থানীয় সাংসদ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। তারিখ হিসেবে উল্লেখ আছে ২০ আশ্বিন ১৪১৩ বঙ্গাব্দ ও ইংরেজি ৫ অক্টোবর ২০০৬। বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিল সিএমএমইউ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন হাসপাতাল না থাকায় তারা গাবতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা বগুড়া শহরে চিকিৎসার জন্য যেতেন; যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। এখন অস্থায়ী হলেও হাতের কাছেই চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য বড় সান্ত্বনা। বৃদ্ধ রোগী ইব্রাহীম হোসেন বলেন, এখন দূরে যাতায়াতের ঝামেলা নেই। সহজেই চিকিৎসা সেবা মিলবে। আমাদের জন্য অনেক বড় সুখের খবর।
বিএনপি নেতা মোরশেদ মিল্টন বলেন, এই অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র চালুর মাধ্যমে আমরা তারেক রহমানের জনসেবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। ভবিষ্যতে এটি স্থায়ী হাসপাতালের রূপ নেওয়ার আশা করি।