আখাউড়া
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫ ২১:৪০ পিএম
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫ ২১:৫৩ পিএম
শুল্ক দিয়েও রক্ষা পায়নি ভারতীয় দুই নাগরিকের মালামাল। বশির আকতার ও মোহাম্মদ তানভীর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার অধিবাসী। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে শনিবার (২৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে আসেন। সঙ্গে করে নিয়ে আসেন কিছু ভারতীয় থ্রিপিস ও শাড়ি।
ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষঙ্গিকতা সেরে সকাল সোয়া ১০টায় বশির আকতার ও মোহাম্মদ তানভীর স্থলবন্দরের কাস্টম অফিসের সামনে থেকে অটোরিকশা চেপে রওনা দিয়েছেন আখাউড়া রেলস্টেশনের দিকে। তাদের অটো স্থলবন্দর পার হয়ে কিছু দূর এগোলেই আখাউড়া-আগরতলা সড়কের বঙ্গেরচর এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা অটোর গতিরোধ করে। পরে তাদের আনা থ্রিপিস ও শাড়ি জব্দ করে আখাউড়া কোম্পানি সদর বিওপিতে নিয়ে আসে। ভারতীয় নাগরিক বশির ও তানভীরের পাসপোর্ট ভিসা বৈধ। তারা থ্রিপিস ও শাড়ির শুল্ক দিয়েছেন। তবুও তাদের ওইসব পণ্য অবৈধ বলে জব্দ করে নিয়ে যায় বিজিবি।
রবিবার দুপুরে আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টম অফিসের সামনে প্রতিদিনের বাংলাদেশের সঙ্গে কথা হয় দুই ভারতীয় বশির ও তানভীরের সঙ্গে।
বশির বলেন, সরকারকে টাকা দিয়ে এসেছি। তারপরও আমাদের মালামাল নিয়ে গেছে বিজিবি। আমার মাল ও শুল্ক পরিশোধের পেপারস ফেরত চাইলে বিজিবি চলে যেতে বলে। তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আসার পর কাস্টমস আমার ব্যাগের মালামাল দেখে বলে মালের ট্যাক্স দিতে হবে। আমি তা দিয়েছি। ৫ হাজার টাকা ট্যাক্স দিয়েছি। তখন কাস্টমস আমাকে একটি ট্যাক্স পরিশোধের পেপারস দিয়েছে। সেই পেপারসটি বিজিবি নিয়ে আমাকে বলেছে সেটি ভুয়া।
অন্যদিকে তানভীর বলেন, বাংলাদেশ সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে এসেছি। তবুও আমাদের মালামাল নিয়ে গেছে বিজিবি। তারপর আমাদের হয়রানি করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সদরুল হাসান চৌধুরী বলেন, সকালে ভারতীয় যাত্রী সঙ্গে করে শাড়ি ও থ্রিপিস নিয়ে এসেছে কাস্টমসে। তাদের প্রত্যেকের ৪২ পিস থ্রিপিস ও ২১ পিস করে শাড়ি ছিল। ওই দুই যাত্রীর ব্যাগেস রুলসে যতটুকু পায় তা বাদে একেকজনের ৫ হাজার টাকা করে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। পরে ওই দুই যাত্রী ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করেন। শুল্ক পরিশোধের পর ওই মালামাল বৈধ। কাস্টমসে শুল্ক পরিশোধ করা মালামাল জব্দ করার এখতিয়ার বিজিবির নেই।
আখাউড়া কোম্পানি সদর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নূরুল আমিন বলেন, দুই ভারতীয় নাগরিক বড় বড় ব্যাগ নিয়ে অটোরিকশা করে যাচ্ছিল আখাউড়ার দিকে। আমাদের সন্দেহ হলে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করি। তাদের ব্যাগে অনেক শাড়ি ও থ্রিপিস পাওয়া গেছে। তাদের কাগজ চাইলে ওই ভারতীয় নাগরিকরা কাস্টমসের ট্যাক্সের কপি দিয়েছে। ওই কপিতে কসমেটিক ও থ্রিপিসের উল্লেখ রয়েছে। শাড়ি ও কী পরিমাণ মাল আছে তার উল্লেখ নেই। তাই মালামাল জব্দ করে সিজার লিস্ট করে আখাউড়া কাস্টমসে জমা দেওয়া হবে।