ঝালকাঠি সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫ ২১:১১ পিএম
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫ ২১:৫৮ পিএম
ঝালকাঠির পূর্ব গুয়াটনে তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস এবং ছানা হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর থানায় ফৌজদারি আইনে এবং বন বিভাগে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলাগুলো করা হয়েছে। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত তিনজনই পলাতক রয়েছেন।
রবিবার (২৯ জুন) দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় স্থানীয় এক ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় থাকা তালগাছ কাটার অপরাধে সদর থানায় মোবারক আলী, মিজানুর রহমান ও ফারুক হোসেনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়। একই সঙ্গে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাবুই পাখির ছানা হত্যা ও ডিম ধ্বংস করার অপরাধে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী ‘চঙজ নম্বর ০১/ঝাল/২০২৪-২৫’ নামে একটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।
সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘বাবুই পাখির আবাসস্থল ও পাখি হত্যা করার অপরাধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুসারে আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আশা করি আদালত ন্যায় বিচারের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূল শাস্তি দেবেন।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘তাল গাছ কেটে আবাসস্থল ধ্বংস ও পাখি হত্যার মতো চরম ঘৃণ্য অপরাধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি সদর থানা ও অন্যটি জেলা জজ আদালতে। ঘটনাটি আমরা খুবই গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছি। মামলা দায়েরের পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকালের দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকার একটি তালগাছ কেটে ফেলা হয়। মোবারক আলী ফকিরের জমির পাশে যে সড়কটি। তার পাশেই এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছটি বহু বছর ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয় ও প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। গাছটিতে অসংখ্য ঝুলন্ত বাসা, ডিম ও ছানা ছিল।
মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি গাছটি কিনে কেটে ফেলেন। তালগাছটির ঘাতক মিজানুরের সহায়তায় ছিলেন ফারুক হোসেন। গাছ কাটার সময় অসংখ্য বাসা নিচে পড়ে যায়। এতে বাসার ডিম ভেঙে যায়। ছানাগুলো মারা যায়।