× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সৌদি খেজুর চাষে লিজার চোখে আশার আলো

তরিকুল ইসলাম মিঠু, যশোর

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫ ০৯:৩৪ এএম

সৌদি খেজুর চাষে লিজার চোখে আশার আলো

বাড়ির আঙিনায় বাণিজ্যিকভাবে সৌদি খেজুর চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার নুসরাত জাহান লিজা। ছয় বছর আগে রোপণ করা ৪০টি গাছের মধ্যে এবারই প্রথম ৩টি গাছে খেজুর ধরেছে। গাছের লাল টসটসে খেজুর দেখার জন্য প্রতিদিন ওই বাড়িতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। দেশের মাটিতে উৎকৃষ্টমানের সৌদি আরবের খেজুর হওয়ায় সেগুলো তিনি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

নুসরাত জাহান লিজা উপজেলার মঙ্গলকোট এলাকার আব্দুল লতিফের মেয়ে এবং একই গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী। তিনি এবার বিএ পরীক্ষার্থী। লেখাপড়া ও সংসার সামলে তিনি শখের বসে সৌদি আরবের এ খেজুর চাষ করেছিলেন।

সরেজমিন দেখা যায়, লিজার বাড়ির আঙিনায় রয়েছে ৪০টি সৌদি আরবের সুমিষ্ট খেজুরগাছ। ছয় বছর আগে লিজার চাচা সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি সৌদি থেকে কিছু খেজুর নিয়ে আসেন। সেই খেজুরের বীজ থেকে লিজা ৪০টি চারা তৈরি করেন। এরপর চারাগুলো বাড়ির আঙিনার এক বিঘা জমিতে রোপণ করেন। লিজা ও লিজার বাবা আব্দুল লতিফ গাছগুলো ছয় বছর ধরে পরিচর্যা করেন। অবশেষে গাছগুলো ফল দিতে শুরু করেছে।

লিজা জানান, ছয় বছর আগে আমার চাচা সৌদি আরব থেকে হজ শেষে বাড়ি ফেরার সময়ে সৌদির খেজুর নিয়ে আসেন। তাদের ওই সৌদি আরবের খেজুর খেতে দিলে তার বীজ সংরক্ষণ করেন। পরে ওই খেজুরের বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বাড়ির আঙিনায় লাগানো হয়। বর্তমানে তিনটি গাছে ফলন এসেছে। এ ছাড়া অধিকাংশ গাছের গোড়া থেকে একাধিক চারা বের হয়েছে। এসব গাছের গোড়ায় ভার্মিকম্পোস্ট (কেঁচো সার) ব্যবহার করা হয়। কাঁদির এসব খেজুর আগামী এক দেড় মাসের ভেতর পেকে যাবে। পাকলে এসব খেজুর প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে।

খেজুর দেখতে আসা মূলগ্রামের চৈতন্য নন্দী ও আলতাপোল গ্রামের ফয়সাল মাহমুদ বলেন, এ অঞ্চলের মাটিতে সৌদি আরবের খেজুর উৎপাদনের কথা শুনে দেখতে এসেছি। গাছের লাল টস টসে খেজুর দেখে অভিভূত। তার দেখাদেখি এই অঞ্চলে খেজুরের চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

প্রতিবেশী হালিমা বেগম বলেন, লিজা ও লিজার বাবা নিজেদের দৈনন্দিন কাজ করার ফাঁকে খেজুরবাগানটিতে অনেক পরিশ্রম করেন। নিয়ম করে গাছগুলোতে পানি ও সার দেন। গত বছরেও কয়েকটা গাছে কিছু ফল ধরেছিল। তবে সেগুলো সবই পড়ে গেছিল। এবার তিনটি গাছে ফল হওয়ায় তারা খুবই আনন্দিত। সেই সঙ্গে এলাকার লোকজন উৎসাহ নিয়ে খেজুরগাছ দেখতে আসছেন।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লিজার বাবা আব্দুল লতিফ গাছে ফল আসার আগে থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। গাছে খেজুর আসার পর খেজুর পোকায় নষ্ট করছিল এবং খেজুর ফেটে যাচ্ছিল। আমি তাকে যথাযথভাবে দিকনির্দেশনা দেই। তিনি সেই অনুযায়ী পরিচর্যা করেন। এর ফলে এ বছর তিনটি কাছে ফল ধরেছে। ফলগুলো প্রায় পাক ধরেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরে সব গাছে ফল ধরবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা