মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫ ২১:০৩ পিএম
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৫ ২১:২৫ পিএম
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আশফাকের যমজ ছেলের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৮ জুন) বিকালে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে আসেন বিদ্যালয় কমিটির সাবেক সভাপতির যমজ ছেলে। এ সময় তারা শিক্ষার্থীর নামে অভিযোগ করলে সহকারী প্রধান শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, ছাত্রের পরীক্ষা আছে পরে বিষয়টি দেখছি। কিন্তু তারা কথা না শুনে প্রধান শিক্ষককে কল দিতে বললে, শিক্ষক খায়রুল ইসলাম অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় তারা রাগান্বিত হয়ে গালাগাল করতে করতে বিদ্যালয়ের গেটে তালা দেয়। পরে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানালে তিনি পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সিনিয়র শিক্ষকদের নিয়ে অফিস কক্ষে বসেন। বেলা ৩টার দিকে প্রধান শিক্ষকের কাছে অনুমতি নিয়ে টিফিন খাওয়ার জন্য বিদ্যালয় থেকে বাসার উদ্দেশে বের হলে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির যমজ ছেলেসহ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে কিল, ঘুসি মেরে গুরুতর আহত করেন।
হামলার শিকার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ নিয়ে আসলে আমি জানাই পরীক্ষার পর দেখছি। কিন্তু তখন তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যালয়ের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। ঘটনা শুনে প্রধান শিক্ষক এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। তখন টিফিন খাওয়ার জন্য বিদ্যালয় থেকে বের হলে, বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির যমজ ছেলেসহ আরও কয়েকজন অতর্কিত হামলা করে।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আশফাক জানান, গত ১০ দিন ধরে আমি কিশোরগঞ্জের বাইরে আছি ঘটনা শুনেছি। শনিবার (গতকাল) কিশোরগঞ্জ এসে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলছি।
এ বিষয়ে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার শিক্ষক খাইরুল ইসলামের ওপর কয়েকজন হামলা চালায়। এই বিষয়ে বিদ্যালয় কমিটির সদস্যসহ স্থানীয়রা রবিবার (আজ) দরবার নিয়ে বসবে। জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর মোল্লার ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোনে সাড়া দেননি।