বিশ্ব শরণার্থী দিবস
কক্সবাজার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫ ২২:২৬ পিএম
‘আমরা শরণার্থী জীবন চাই না। নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই। আমাদের দাবিগুলো পূরণে মিয়ানমার যাতে বাধ্য হয়, সেজন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
শুক্রবার (২০ জুন) বেলা ৩টার দিকে বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ‘নো মোর রিফুজি লাইফ’ কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন রোহিঙ্গা নেতারা। এ ছাড়া উখিয়ার বালুখালী ১২ নম্বর আশ্রয় শিবিরের কয়েকটি শিবিরেও এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ সময় বৃষ্টি উপেক্ষা করে নারী, শিশু-কিশোরসহ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লোকজন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে অংশ নেয়। সমাবেশে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে মাঠে তৎপর ছিল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কুতুপালং সমাবেশে বক্তব্য দেন উখিয়া কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের চেয়ারম্যান আবদুল মাজেদ, অ্যাকটিভিস্ট ইউনুছ আরমান ও নারী নেত্রী আজমা বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে কুতুপালং রোহিঙ্গা অ্যাকটিভিস্ট ইউনুছ আরমান বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের দেশ। আমরা নিজের দেশে ফিরে যেতে চাই। আমরা নিবিন্ধত রোহিঙ্গাদের ৩৪ বছর উদ্বাস্তু জীবন পার করছি। আমরা আর রিফুউজী জীবন চাই না। বিশ্বের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে দ্রুত আমাদের একটা সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের হয়।’
রোহিঙ্গা কমিটি পিস অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন (আরসিপিআর) নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা এই শরণার্থী জীবন আর চাই না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছি, আমাদের দাবিগুলো মানতে মিয়ানমারকে বাধ্য করে স্বদেশে ফিরে যেতে সহায়তা করুন।’ বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং এ দেশের আইন মানতে রোহিঙ্গাদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ সিরাজ আমীন বলেন, ‘দুপুরের পর আমার এলাকার কয়েকটি শিবিরে বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে রোহিঙ্গারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করেছে। তারা (রোহিঙ্গারা) নিজ দেশে ফিরে যেতে বিশ্বের কাছে দাবি তোলেন।’