ফরিদপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫ ২২:০১ পিএম
একাধিক মামলার আসামি শহরতলির কানাইপুর এলাকার খায়রুজ্জামান খাজাকে ফরিদপুর সদর উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি ঘোষণা করায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচার হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটি। শুক্রবার (২০ জুন) সকালে জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (চলতি দায়িত্ব দপ্তর সম্পাদক) ইঞ্জিনিয়ার জামাল হোসেন সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ফরিদপুর জেলা এবং সদর উপজেলার কমিটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
আগামী ২৩ জুন বেলা ৩টায় ফরিদপুর জেলা কমিটির সব নেতাকে জিয়া মঞ্চ কেন্দ্রীয় দপ্তরে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, ফরিদপুর জেলা জিয়া মঞ্চের কতিপয় নেতা টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের দলে টেনে এনে পদ দিচ্ছেন।
এ কারণে ফরিদপুরের কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। তিনি দাবি করে বলেন, ফরিদপুর জেলা কমিটিতে যারা রয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ন্যূনতম সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা জিয়া মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম মোর্শেদ পলাশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা যায়নি। একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি খায়রুজ্জামান খাজাকে সদর উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
খায়রুজ্জামান খাজার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, দস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায়। খায়রুজ্জামান খাজা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের ছবি দিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে এলাকায় লাগিয়েছিলেন তিনি।