চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ২০:৩৬ পিএম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫ ২০:৪২ পিএম
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে আদালতে তোলার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিল করলে জেলাজুড়ে চালানো হয় সাঁড়াশি অভিযান। এ ঘটনার পর জেলাজুড়ে ব্যাপক সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
অভিযানে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের মোট ৫৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চকরিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, শুধু চকরিয়া উপজেলা থেকেই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের ১৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের ভাতিজা হাছান আল বশরী, ভাগিনা হেলাল উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, রামু ও সদর উপজেলায় একযোগে অভিযান চালিয়ে আরও ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহর ঘনিষ্ঠজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
জেলা পুলিশ সূত্রে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেনÑ রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম মণ্ডল, রাজারকুল ও চাকমারকুল ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেন, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসাইন মিথুন, চকরিয়া যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ, মহেশখালীর যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন, কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন, লেমশীখালী ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক নুরুল আমিন।
এ ছাড়া কক্সবাজার সদর উপজেলার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইমরানসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, বুধবার (১৮ জুন) সকালে সাবেক এমপি জাফর আলমকে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। আদালত ৭টি মামলায় মোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে চকরিয়া থানার ৫টি মামলায় ১৪ দিন এবং পেকুয়া থানার ২টি মামলায় ৪ দিন রিমান্ড অনুমোদন দেন বিচারক আনোয়ারুল কবির।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, জাফর আলমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে একই দিনে জাফর আলমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা বিএনপি। সাবেক এমপির ফাঁসির দাবিতে মিছিল করেন বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক ও তার সহযোগীরা।