ময়মনসিংহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ২০:৩১ পিএম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫ ২০:৪৫ পিএম
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে এক মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা তার দুই বছর বয়সি ছেলে আইয়ুব আলীকে হত্যা করে মরদেহ নিজ ঘরেই মাটির নিচে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
ধুরাইল ইউনিয়নের পশ্চিম ধুরাইল গ্রামে বুধবার (১৮ জুন) রাতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বাবা নুরুল আমিনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে হালুয়াঘাট থানা-পুলিশ। তিনি একই গ্রামের ফজুল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন নুরুল আমিন। বুধবার দুপুরে তিনি তার ছেলে আইয়ুব আলীকে নিজের কাছে নেন। এরপর পরিবারের অন্যান্য সদস্যের দা দিয়ে ভয় দেখিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে স্বজনরা শিশুটির খোঁজ করলে নুরুল আমিন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরিবার ও এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা ঘরের এক কোণে সদ্য খোঁড়া মাটির স্তূপ দেখতে পান। পরে নুরুল আমিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, মাথায় আঘাত করায় শিশু আইয়ুবের মৃত্যু হয়েছে এবং তিনি মরদেহ ঘরের ভেতরে পুঁতে রেখেছেন। স্থানীয়রা মাটি খুঁড়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন। একই ঘরের আরেক জায়গায় পুঁতে রাখা দুটি ছাগলের মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর দাদা ফজুল মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছে। তার ভয়ে আমরা অনেক সময় বাড়ির বাইরে থাকতাম। বুধবার বিকালে এসে শুনি, সে আমার পুত্রবধূকে মারধর করে বের করে দিয়েছে এবং নাতিকে হত্যা করেছে।’
হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুল ইসলাম হারুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত শাবল ও কোদাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।