শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ২০:২৮ পিএম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫ ২০:৪৬ পিএম
গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ীর জমির ফলদ ও বনজ গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীর স্ত্রী শাহিনুর আক্তার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামে।
অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের মৃত তায়েব হোসেনের ছেলে আব্দুল আজিজ, তার দুই ছেলে লিটন ও রনি এবং তাদের আরও পাঁচ সহযোগী।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানের স্ত্রী অভিযোগে উল্লেখ করেন, শ্রীপুরের ৬ নম্বর রাথুরা মৌজার এসএ ১২৫৭ এবং আরএস ৯১৫ খতিয়ানে এসএ ৩২৭৯ এবং আরএস ১২৩৮৭ নম্বর দাগে সাড়ে ৯ গন্ডা জমি পৈতৃক সূত্রে মালিক হয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে ভোগ দখল করে আসছেন তার স্বামী মজিবুর রহমান। কিন্তু অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন আমার স্বামীর সঙ্গে আমাদের ভোগ দখলীয় জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে। তারা প্রায়ই জমি দখলের চেষ্টা চালান এবং গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। বাড়িতে আমি ও আমার স্বামী এবং এক ছেলের স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছি। তাদের অব্যাহত হুমকিতে আমাদের ভয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, গত বুধবার ঘটনার দিন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ অভিযুক্তরা জমিতে প্রবেশ করে একাধিক গাছ কেটে ক্ষতিসাধন করে। বাধা দিলে ভুক্তভোগীদের মারধরের চেষ্টা করে এবং তাদের রাস্তায় পেলে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। এমনকি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতিও দেখায়।
অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ বলেন, মজিবুর রহমান আমার বড় ভাই। বাবা ১৯৯৮ সালে ওই জমি আমাকে দলিল করে দিয়েছেন। আমি প্রবাসে থাকাকালে তিনি জমি ভোগ দখল করেছেন। ২০১৮ সালে ফিরে এসে আমি ওই জমিতে ফলদ ও বনজ গাছ রোপণ করেছি। আমার জমিতে ঘর নির্মাণ করার জন্য জমির গাছ কাটতে গেলে বড় ভাই মজিবুর রহমান বাধা দেয়। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সঠিক নয়। বিষয়টি আগামী শনিবার স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ইন্দ্রপুর গ্রামের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বাদী-বিবাদী সহোদর দুই ভাই হওয়ায় বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত হওয়া যাবে। কেউ বেআইনি কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।