চাঁদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ২০:১৩ পিএম
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫ ২০:১৭ পিএম
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে বেড়া দিয়ে আধা কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে জহিরাবাদ ইউনিয়নের নেদামদী মাথাভাঙ্গাসহ ১০ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়, উপজেলা প্রশাসন থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জামতলা মজুমদারবাড়ি থেকে তপাদারবাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুনর্নির্মাণের জন্য ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সড়কটির কাজ শুরু হওয়ার পর গত শনিবার মজুমদারবাড়ির ইব্রাহীম মজুমদার, রফিক মুন্সী, ওচমান ও ওমর মজুমার গং বেড়া দিয়ে বাধা সৃষ্টি করছে।
গত সোমবার সকালে রাস্তাটি সংস্কার কাজ অব্যাহত রাখার দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মজুমদারবাড়ির ইব্রাহীম মজুমদার, রফিক মুন্সী, ওচমান ও ওমর মজুমার গং। গত শনিবার তারা রাস্তার কাজ শুরু হওয়া দেখে বেড়া দিয়ে দেয়। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, আধা কিলোমিটার সড়ক সংস্কার না হওয়ায় দশ গ্রামের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে আছে। এই সড়ক দিয়ে নেদামদী-মাথাভাঙ্গা গ্রামের বাইরে ইউনিয়নের দক্ষিণ এখলাছপুর, বরইকান্দী, বালুয়াকান্দি, কাজিকান্দি, আমিনপুর, হাশেমপুর, নয়াকান্দি গ্রামে বাসিন্দারা ব্যবহার করে আসছে। জহিরাবাদ ইউনিয়নের বরইকান্দি থেকে পাঁচানি সড়ক প্রায় ৫ কিলোমিটার। অথচ এই সড়কটির দুই পাশে পাকা সড়ক। আধা কিলোমিটার কাঁচা।
প্রবাসী ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় থাকি। তিন মাস পর পর দেশে আসি। সড়কটাকে সরকার সংস্কার পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু মজুমদারবাড়ির লোকজন এটি সংস্কার করতে দিচ্ছে না।’
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে জহিরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের কাছে একটি আবেদন করেছি। সড়কের সংস্কারের বরাদ্দ পেয়ে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। সড়কের কাজ শুরুর তিন দিন না যেতেই মজুমদারবাড়ির লোকজন বেড়া দিয়ে সড়কের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
প্রকল্পের ইউপি সদস্য সভাপতি রোকেয়া বেগম জোসনা বলেন, ‘মজুমদারবাড়ি থেকে তপাদারবাড়ির সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। হঠাৎ করে দুদিন ধরে একটা পরিবার বেড়া দিয়া কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, এখন তাদের বুঝিয়ে-শুনিয়ে সড়কটি করতে হবে। জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজটি শেষ করতে স্থানীয়দের নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি।