ফরিদপুর সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫ ২১:২৯ পিএম
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫ ২১:৩৫ পিএম
ফরিদপুরে নারী পাচারের দায়ে মাকসুদা বিবি ও মর্জিনা বেগম সোনালি নামে দুই নারীকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি পলাতক ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত মাকসুদা বিবি সাতক্ষীরার বৈশালী গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার সময় তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি জুট মিলে কাজ করতেন। অপর আসামি মর্জিনা বেগম সোনালির বাড়ি মুন্সীগঞ্জের হটচারীপুর এলাকায়। মর্জিনা বেগম মাকসুদা বিবির সহযোগী হিসেবে পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফরিদপুর শহরতলির কানাইপুরে একটি জুট মিলে চাকরি করতেন দুই বোন। এ সুবাদে ওই জুট মিলে চাকরিরত মাকসুদা বিবির সঙ্গে তাদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১২ সালের ৮ মে দুই বোনের মধ্যে বড় বোনকে নিয়ে মাকসুদা বিবি তাদের দেশের বাড়ি সাতক্ষীরায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে সুন্দরবন দেখাবেন বলে প্রলুব্ধ করেন। তাকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার মা রাজিয়া বেগম তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে থাকেন। তাদের দুজনের মোবাইল বন্ধ থাকায় সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি ভারত থেকে তার ছোট মেয়ের মোবাইলে ফোন করে জানান, তার বড় বোনকে ভারতে পাচার করা হয়েছে এবং তার বোন পুলিশ হেফাজতে আছেন। পরে ওই মেয়ের মা ২০১২ সালের ২৯ মে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। পাচার হওয়া ওই নারী এখন দেশে আছেন।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন বলেন, সাক্ষী ও শুনানির পর ওই নারীকে পাচারের দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।