ফেনী
ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫ ১৯:৪১ পিএম
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫ ২১:৪২ পিএম
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ফেনীতে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ২২৩টি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে ফেনী জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ১৫ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার সহকারী সচিব মো. মফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়। লিখিত ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, সরকার ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮-এর ৪৯৪ ধারার আওতায় এসব মামলার প্রসিকিউশন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় মামলাগুলো প্রত্যাহারের লক্ষ্যে ফেনীর পিপিকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ফেনী জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর মেজবাহ উদ্দিন খান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর পতিত সরকারের আমলে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলাগুলোর বৈধতা পর্যালোচনা শুরু হয়। তারই অংশ হিসেবে ফেনী থেকে প্রাথমিকভাবে ৪৫৬টি মামলার একটি তালিকা পাঠানো হয়েছিল, যার মধ্যে প্রথম ধাপে ২২৩টি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব মামলার অধিকাংশই বিস্ফোরকদ্রব্য আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত এবং সময়কাল ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত বিস্তৃত। বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে-পরে ব্যাপকভাবে গায়েবি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছিল।
ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বিএনপির তিন থেকে চার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা এসব মিথ্যা মামলায় অনেকে জেল খেটেছেন, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। বাকি মামলাগুলোও দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
এদিকে, মামলাগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে অভিহিত করেছেন ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল। তিনি বলেন, বছরের পর বছর বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় জেল খেটেছেন। রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও ৬৫-৭০টি মিথ্যা মামলা ছিল। বহুবার জেল খেটেছি, রিমান্ডে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, অতীতে আমাদের ওপর অন্যায় হয়েছে। যারা এই সিদ্ধান্তে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই।