নরসিংদী সংবাদদাতা
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৩২ পিএম
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৪৮ পিএম
ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে পুলিশের তল্লাশি। ছবি : প্রবা
নরসিংদীর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঢাকাগামী পরিবহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বাস, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে, ‘কোথায় যাচ্ছেন? কেন যাচ্ছেন?’
পুলিশ বলছে, নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জেলখানার মোড় ও সাহেপ্রতাব এলাকায় দুটি তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। এ ছাড়া রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে আরও তিনটি। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে যেন কোনোরকম নাশকতা না হয়, সেজন্য এসব তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে।
সরেজমিন মহাসড়কের জেলখানার মোড়ে দেখা যায়, নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশীদের নেতৃত্বে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা হাতের ইশারায় বিভিন্ন পরিবহন থামাচ্ছেন। থামানোর পর পুলিশের কয়েকজন সদস্য গাড়ির ভেতরে গিয়ে যাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। সন্তোষজনক জবাব পেলে তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় দেখা যায়, শুধুমাত্র ঢাকাগামী পরিবহনই থামানো হচ্ছিল। বিপরীত দিকে আসা পরিবহন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছিল।
সিলেট থেকে শ্যামলী পরিবহনে চড়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন ফরহাদ হোসেন। ওই বাসে পুলিশের তল্লাশির সময় কথা হয় তার সঙ্গে। বলেন, “হঠাৎ বাস থামিয়ে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে। পুলিশ আমাদের প্রশ্ন করেছে, ‘কোথায় যাচ্ছেন? কেন যাচ্ছেন?’ তল্লাশির নামে যাত্রীদের এ হয়রানি কাম্য নয়।”
কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা যাচ্ছিল শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। বাসটির চালক কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা হলে বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে। তারা হাতের ইশারায় বাস থামায়। পরে পুলিশ সদস্যরা বাসে ঢুকে যাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করে নেমে যান। এ নিয়ে তিন নম্বর তল্লাশিচৌকিতে আছি। এর আগে আরও দুটি তল্লাশিচৌকি পার হয়ে এসেছি। ঢাকা পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত আমার জানামতে আরও দুটি তল্লাশিচৌকির মুখোমুখি হতে হবে।’
এ বিষয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নাশকতা এড়াতে জেলায় পাঁচটি তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। এটা আরও বাড়ানো হবে। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তল্লাশিচৌকিতে আমরা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করব। এসব চৌকি থেকে থেকে এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।’
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহী বলেন, ‘তল্লাশিচৌকির নামে এভাবে বাধা দিয়ে বিএনপির সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ ঠেকানো যাবে না। আমরা গণমানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও কোনো না কোনো উপায়ে আমাদের সমাবেশে অংশ নেবেন। এ সব করে আওয়ামী লীগ গণমানুষের কাছ থেকে আরও দূরে সরে যাচ্ছে।’