সন্ত্রাসী বাহিনীকে ‘সহায়তা’
পাবনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫ ১৭:৪৬ পিএম
পাবনার ঈশ্বরদীর লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন।
আবারও আলোচনায় এসেছে পাবনা ডিবি পুলিশের সাবেক ওসি ও বর্তমানে পাবনার ঈশ্বরদীর লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন। আওয়ামী সমর্থিত নৌপথের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কাকন বাহিনীকে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আলোচিত-সমালোচিত তুহিনকে বিএনপি, জামায়াত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও হয়রানিসহ নানা অভিযোগে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে বদলি করা হয়। কিন্তু মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে তাকে রহস্যজনকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রূপপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে পদায়ন করা হয়।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি হন এমরান মাহমুদ তুহিন। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে বেশ সখ্য গড়ে তোলেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের সুযোগে তিনি বালুমহাল, অবৈধ সিরাপ কারখানাসহ বিভিন্ন মহল নিয়ন্ত্রণ নেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক শিক্ষার্থীকে তুলে এনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন আন্দোলনের সময় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছিলেন। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের বিএনপির ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছেন।
ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের পর খালাসপ্রাপ্ত জাকারিয়া পিন্টু অভিযোগ করেন, ‘ডিবি পুলিশের ওসি থাকাবস্থায় এমরান মাহমুদ তুহিন বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নির্যাতন করেছেন। অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য তাকে লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে নিয়ে আসা হয়। আওয়ামী সন্ত্রাসী কাকন বাহিনীর সঙ্গে তুহিনের অনেক দিনের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের সূত্রে বিএনপির কিছু নেতার যোগসাজশে তুহিনকে লক্ষীকুণ্ডায় নিয়ে আসা হয়।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লক্ষীকুণ্ডা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমরান মাহমুদ তুহিন বলেন, ‘আমি তাদের (কাকন বাহিনী) চিনি? নদীকেন্দ্রিক যেটা হচ্ছে তা আপনারা (সাংবাদিক) নিজেরাই জানেন কেন হচ্ছে? এখন পিন্টু ভাইয়ের গ্রুপিংয়ের মধ্যে পড়েছে, আমাকে সেই গ্রুপিংয়ের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।’