আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫ ২২:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫ ২২:৫৮ পিএম
ঢাকার সাভারে একটি বাসা থেকে লতা আক্তার (২০) নামের এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের। এ ঘটনায় ওই পোশাক শ্রমিকের শ্বশুর মো. মাসুদ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে উপজেলার তেঁতুলঝোড়া এলাকার সোলেমান মিয়ার ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার একই বাড়ির দোতলার একটি কক্ষ থেকে ওই পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত লতা আক্তার ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দিয়ানগর গ্রামের মো. আব্দুস সালামের মেয়ে। তার স্বামী সেলিম মিয়া পরিবহন শ্রমিক। তেঁতুলঝোড়ার জনৈক সোলায়মান মেম্বারের বাড়িতে ভাড়া থেকে লতা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. সিরাজুল ইসলাম সবুজ।
লতার বোন জামাই মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, দুপুরে প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে লতাকে পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। লতার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে।
লতার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমার মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে লতার স্বামী সেলিম মিয়া পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম সবুজ বলেন, মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড়ের দাগ রয়েছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট হাতে এলে জানা যাবে। তবে হত্যাকাণ্ডের সময় লতার স্বামী ঘটনাস্থলে ছিলেন না, প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।