নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫ ২২:৪৮ পিএম
কোম্পানীগঞ্জে দেড় বছর আগের ক্লুলেস এক হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নুরুল আলম রনি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রংমালা বাজার এলাকার সফিকুল আলম বাহারের ছেলে।
হত্যাকাণ্ডের পর দেড় বছর ধরে পলাতক থাকা রনি কোরবানি ঈদে বাড়িতে এলে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের শিকার শরীফ (২৫) উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের আব্দুল আজিজ মুন্সিবাড়ির জাফর আহম্মেদ ছেলে। আসামি রনির সঙ্গে শরীফের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তারা প্রায়ই একসঙ্গে বসে সিগারেট খেতেন।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে শরীফের কাছে একটি সিগারেট চান রনি। কিন্তু শরীফ তা না দিলে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। ওই সময় রনির কাছে টাকা ছিল না, পরে সে বাড়ি গিয়ে টাকা এনে বাজারের হরির দোকান থেকে সিগারেট কেনে এবং বাড়ির পুকুরঘাটে গিয়ে খাওয়া শুরু করে। তখন শরীফ সেখানে গেলে ফের তাদের বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রনি তাকে রংমালা দারুল উলুম মাদ্রাসার পেছনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটায়। এতে শরীফ অচেতন হয়ে পড়লে রনি লতাপাতার নিচে তাকে ঢেকে রেখে চলে যায়। পরে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ৭ দিন পর পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার পর রনি বাড়ি না ফিরে পরদিন চট্টগ্রামে চলে যান। সেখানে তিনি ভিক্টিমের মোবাইল ফোন বিক্রি করেন। প্রথমে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। পরে ময়নাতদন্তে হত্যার প্রমাণ মেলে। এরপর গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বলেন, ‘দীর্ঘ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা হত্যার রহস্যের জট খুলেছি।’