রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫ ২২:১২ পিএম
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫ ২২:১৭ পিএম
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলীতে ঐতিহ্যবাহী খেতুরী ধামে হিন্দু ও আদিবাসী সনাতনী সম্প্রদায়ের মিলন মেলা ও আলোচনা সভায় ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে ওই নেতার দাবি, ঐতিহ্যবাহী খেতুরী ধামের ম্যানেজিং কমিটি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে এই উপাসনালয়ের জমিল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সেই জমি দখলের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে এই হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গোদাগাড়ী উপজেলার হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টায় রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের আহ্বায়ক উপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
এ সময় তিনি দাবি করেন, গত ১৩ জুন প্রায় ১২ হাজার ভক্তদের জন্য মহাপ্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপজেলার ৬ নম্বর মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু তার সন্ত্রাসী বাহিনীসহ খেতুরী ধামের ম্যানেজার গোবিন্দ চন্দ্র পাল, হিন্দু আদিবাসী সনাতনের সদস্য সহদেব কুমার পান্নাকে মারধর করে মন্দির থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় উপস্থিত সব ভক্ত ভয়ে মন্দির থেকে চলে যান। খেতুরী ধামের কমিটির দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে এই হামলা হতে পারে বলে জানান সংগঠনটির আহ্বায়ক উপেন্দ্রনাথ।
উপজেলার ৬ নম্বর মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সহদেব কুমার পান্নাসহ ট্রাস্টি বোর্ডের কজনের বিরুদ্ধে খেতুরী ধামের জমি দখল করে প্লট আকারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এমন অবস্থায় তারা ম্যানেজিং কমিটি ও ট্রাস্টি বোর্ডের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করতে চাচ্ছেন। পদাধিকারবলে যেহেতু খেতুরী ধামের দায়িত্বে জেলা প্রশাসক রয়েছে, সে কারণে তাদেরকে বলা হয়েছে বিষয়টি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে। এ ঘটনা তাদের মনোপূত না হওয়ায় তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।