নুপা আলম, কক্সবাজার
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫ ১১:২২ এএম
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের ভিড়ে মুখর ছিল প্রতিটি পর্যটন স্পট। ৭ জুন ঈদের দিন থেকে ১৩ জুন শুক্রবার পর্যন্ত সাত দিন সৈকতসহ আশপাশের স্পটগুলোতে ঘুরেছেন প্রায় ৪ লাখ পর্যটক। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, এই সময়ে জেলার পর্যটন খাতে লেনদেন হয়েছে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার বেশি।
কক্সবাজারের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে ঈদের দিন থেকেই উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। হাজারো পর্যটক সৈকতে জেট স্কি, বিচ বাইক, ঘোড়ার পিঠে চড়া, ‘কিটকট’ ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি উপভোগ করেছেন। পাশাপাশি শুঁটকি মাছ, বার্মিজ পণ্য, মুক্তার গহনা, শামুক-ঝিনুকের তৈরি সামগ্রী ও আচার কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। এতে সৈকতপাড়ের দোকানদার, হকার, ফটোগ্রাফার ও পরিবহনকর্মীরা পেয়েছেন জমজমাট ব্যবসা।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ‘পর্যটনকে ঘিরে অন্তত পাঁচটি খাতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক গতি তৈরি হয়Ñ আবাসন, খাবার, সৈকতকেন্দ্রিক সেবা, কেনাকাটা এবং পরিবহন।’
তিনি জানান, সরকারি বা বেসরকারি কোনো নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা অনুযায়ী সাত দিনে কক্সবাজারে প্রায় ৪ লাখ পর্যটক ভিড় করেছেন। চেম্বারের হিসাবে, প্রতিজন পর্যটক গড়ে অন্তত ১০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। ফলে সাত দিনে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বেশি। তার মতে, পর্যটকের প্রকৃত সংখ্যা জানতে হলে সরকারি উদ্যোগে আবাসিক হোটেলগুলোর তথ্য অনলাইনে সংগ্রহের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘ঈদের প্রথম দিন তুলনামূলক কম ভিড় থাকলেও পরে তা বেড়ে যায়। সাত দিনে হোটেলগুলোতে অবস্থান করা পর্যটকের সংখ্যা চার লাখের বেশি হবে না।’
বর্তমানে জেলার পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ ও রিসোর্ট প্রায় পূর্ণ। পর্যটকদের সেবা দিতে হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে চলছে তীব্র ব্যস্ততা। ব্যবসা জমজমাট থাকায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল।