প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫ ২১:৪৭ পিএম
করোনা ও এমপক্সের পর ভারত ও চীনে নতুন করে হিউম্যান মেটোপনিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশ সীমান্তেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ও খুলনার মোংলা বন্দরে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধিভিত্তিক বিশেষ ব্যবস্থা।
প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিবেদকদের পাঠানো প্রতিবেদনেÑ
সাতক্ষীরা : এবার নতুন ভাইরাস হিউম্যান মেটোপনিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে দুই শিশুর শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে স্থাপন করা হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল থেকে ৪ সদস্যের মেডিকেল টিম ইমিগ্রেশনে কার্যক্রম শুরু করেছে। ভারত থেকে আগত পাসপোর্টধারী যাত্রী, আমদানিকৃত পণ্যের ট্রাক চালক ও সহকারীদের শরীরের তাপমাত্রা হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে মাপা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সচেতনতামূলক পরামর্শ এবং মাস্ক পরার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের মেডিকেল ক্যাম্পের ইনচার্জ ডা. আব্দুস শহিদ বলেন, করোনা এবং এমপক্সের পর সম্প্রতি ভারতে দুই শিশুর শরীরে নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ রোধে ভোমরা ইমিগ্রেশনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম কাজ করছে। এইচএমপিভি ভাইরাস ঠান্ডা-জ্বর ও শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ তৈরি করে। করোনা এবং এমপক্সের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে আমরা বাড়তি সতর্কতা নিয়েছি। সন্দেহভাজন যাত্রীদের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সব যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে এবং মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্ক নয়, সচেতনতা জরুরি।
মোংলা : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে থাকায় মোংলা বন্দরে জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। শুক্রবার সকাল থেকে জেটির প্রধান ফটকে বসানো হয়েছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সরঞ্জাম। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মোংলা বন্দরের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ) মাকরুজ্জামান বলেন, বিদেশি জাহাজ থেকে আসা নাবিক ও বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বন্দরের হাসপাতাল থেকেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলে নির্ধারিত দুটি নম্বরে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং আগামী ১৫ জুন থেকে অফিস কার্যক্রম শুরু হলে সবাইকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।